স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণ’: গ্রেপ্তার ৭
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০১৭, ২৩:৩৬
রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্বামীকে গাছে বেঁধে স্ত্রীকে রাতভর দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গৃহবধূর স্বামী জানান, ৪ অক্টোবর (বুধবার) বিকালে স্ত্রীকে নিয়ে তিনি শ্বশুরবাড়ি বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যার দিকে ভ্যানযোগে তারা বিলমাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। পথেই বটতলা-কার্তিকপাড়া এলাকার মাঝামাঝি এলাকায় আনুমানিক রাত ৮টার দিকে জিউপাড়া ইউনিয়নের বিলমাড়িয়া গ্রামের মাছ চাষি নবির উদ্দিন ও মিজান আলীসহ ৭ থেকে ৮ জন তাদের ভ্যানের গতিরোধ করে। এরপরে ধারালো অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক তাদের ভ্যান থেকে নামিয়ে পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে একটি গাছে বেঁধে রেখে তার স্ত্রীকে পুকুর পাহারা দেওয়ার টঙে নিয়ে গিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে। ভোরে আযান দেওয়ার পর তাদের ছেড়ে দিলে তারা সরাসরি থানায় চলে যান।
পুঠিয়া থানার ওসি সায়েদুর রহমান জানান, "৪ অক্টোবর (বুধবার) রাতে উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বটতলা-কার্তিকপাড়ার মাঝামাঝি কাজুপাড়ায় বিলের একটি পুকুর পাড়ে স্বামীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে কয়েকজন রাতভর তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। ৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ভোরে সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে তারা থানায় এসে অভিযোগ দেন। ভোরেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত সাত জনকে গ্রেপ্তার করে"।
গ্রেপ্তাররা হলেন পুঠিয়ার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের বিলমাড়িয়া গ্রামের ওমর আলীর ছেলে নবীর উদ্দিন (২৮), জফেরের ছেলে নিজাম উদ্দিন (৩৫), আবু বক্করের ছেলে আজিজুল ইসলাম (৩৭), আফসার আলীর ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩৭), আবু সাইদের ছেলে মিজানুর রহমান (২৫), ছোট কাজুপাড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৪২) ও গোপালপাড়া গ্রামের মহরম আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)।
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই গৃহবধূকে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলেও জানান তিনি।