বেশি নম্বরের প্রলোভনে ছাত্রীকে নিয়মিত ধর্ষণ, শিক্ষক আটক

প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:০৯

জাগরণীয়া ডেস্ক

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পিংনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গোলাম মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ১৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) রাতে ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে শিক্ষক গোলাম মাসুদ এর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

১৯ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগে এবং ধর্ষক গোলাম মাসুদকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ, ম্যানেজিং কমিটি ও ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা বালিকা উচ্চ সহকারী শিক্ষক গোলাম মাসুদ এর নিকট একই বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী (১৫) ৫/৬ মাস যাবৎ প্রাইভেট পড়ছিল।

এ প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে, শিক্ষক মেধাবী ছাত্রীকে পরীক্ষায় বেশি নম্বর ও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিভিন্ন স্থানে বেড়ানোর নামে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৫ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক (সমাজ বিজ্ঞানে নিয়োগ পাওয়া) গোলাম মাসুদ (৪৫) রাতে উক্ত ছাত্রীকে সাজেশন দেওয়ার নামে ছাত্রীর কক্ষে প্রবেশ করে, দশম শ্রেণীর (১৫) ছাত্রীকে আবারও ধর্ষণ করেন।

বিষয়টি ছাত্রীর পরিবারের সকলে অবগত হলে, ছাত্রীর পিতা ছানোয়ার হোসেন ১৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোজাম্মেল হকের বরাবর বিচার চেয়ে লিখিত আবেদন করেন।

এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে পিংনা উচ্চ বিদ্যালয়, পিংনা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পিংনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পিংনা সুজাত আলী ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষক গোলাম মাসুদ এর শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয়ের প্রধান গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ধর্ষক শিক্ষকের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয়ের সামনে, প্রধান সড়কে দফায় দফায় বিক্ষোভ ও জুতা মিছিল করে।

সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ, মোঃ রেজাউল ইসলাম খান বলেন, ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ধর্ষিত ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জামালপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে।

শিক্ষককে গোলাম মাসুদ(৪৫) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র: বিডি২৪লাইফ

0Shares
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত