বাড়ি যাচ্ছে তোফা-তহুরা
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১২:৩৯
এক মাস দশদিন আগে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা জীবন পাওয়া শিশু তোফা ও তহুরা এখন বাবা-মায়ের কোলে। ১০ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বেলা সোয়া ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে ঢোকেন দুই শিশুর বাবা রাজু ও মা সাহিদা বেগম। দুপুর ১টার দিকে মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সভাকক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের উপস্থিতিতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের বিদায় দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের মো. সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন এবং শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শাহীনূর ইসলাম।
অনুষ্ঠানে ডা. শাহীনূর ইসলাম বলেন, জন্মের কিছুদিন পর থেকে এই পর্যন্ত জোড়া শিশু তোফা-তহুরাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সব চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ড বয় থেকে শুরু করে সাংবাদিক, দেশবাসীর আন্তরিকতায় সফলভাবে তাদের পৃথক করা গেছে।
ডা. শাহীনূর জানান, তোফা ও তহুরার চিকিৎসায় এ পর্যন্ত ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা খরচ হয়েছে। যার পুরোটাই বহন করেছে সরকার ও হাসপাতালের সমাজসেবা দপ্তর। তাদের আর্থিক সহযোগিতায় ডাচবাংলা ব্যাংকে তাদের বাবা-মায়ের নামে একটি হিসাব খুলে দেওয়া হয়েছে। যে কেউ তাদের সাহায্যের জন্য (হিসাব নম্বর-১৩৯১৫১৭৩৭৪০) টাকা পাঠতে পারবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম তোফা-তহুরার চিকিৎসার পেছনে কাজ করা সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, ডা. শাহীনূর অসাধ্য সাধন করেছেন। এখনো তিনি মায়ের মতো আনন্দ নিয়ে মেয়ে দুটির সঙ্গে কথা বলছেন। প্রধানমন্ত্রীসহ সবার পক্ষ থেকে তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনিসহ ঢাকা মেডিকেলের সবাই মিলে শিশু দুটিকে সুস্থ জীবন দিয়েছেন।
নাসিম আরো বলেন, এ রকম সাফল্য আগেও হয়েছে, যা আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে। বেড নেই, রোগীর চাপের মধ্যেও চিকিৎসকরা আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করছেন। যেখানে অন্য দেশ পারছে না, সেখানে এখানকার চিকিৎসকরা করছেন। এ জন্য সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে তোফা ও তহুরার মা সাহিদা বেগম চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,‘আমার মেয়েদের জন্য সবাই দোয়া করবেন।’
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রাজু-সাহিদা দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় জোড়া শিশু তোফা ও তহুরা।