'জেলা পরিষদের সদস্যের নেতৃত্বে' প্রতিমা ভাংচুর, আহত ৬
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:৩৯
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে জেলা পরিষদের সদস্যের নেতৃত্বে ৫টি প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে। এসময় কমপক্ষে ৬ জনকে পিটিয়ে জখম করা হয়।
৬ সেপ্টেম্বর (বুধবার) গভীর রাতে আশাশুনি উপজেলার কুল্ল্যা ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহতরা হলেন, পলাশ ঘোষ, উজ্জল ঘোষ, বাবুলাল ঘোষ, কালিপদ ঘোষ, সুমন ঘোষ ও সুকুমার ঘোষ।
আটককৃতরা হলেন, কচুয়া গ্রামের সালাম সরদারের ছেলে শাহারিয়ার হোসেন (২৫) ও একই গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে চঞ্চল হোসেন (২৪)।
স্থানীয় এলাকাবাসী শংকর ঘোষ জানান, স্থানীয় গোলযোগকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদের ১৩নং ওয়ার্ড সদস্য দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তার বাহিনী রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঘুমন্ত মানুষের উপর হামলা চালায়। এতে নারী পুরুষসহ কমপক্ষে ৬ জন আহত হয়। চলে যাওয়ার সময় তারা কচুয়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের প্রতিমা ভাংচুর করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আঙ্গুর হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি কয়েকটি প্রতিমা ভাংচুর ও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
জেলা পরিষদের সদস্য দেলোয়ার হোসেন জানান, আমি স্থানীয় গুনাকরকাটি বাজারে চুল ছাঁটাই করছিলাম। আমার দুই ভাগ্নে শুভ ও শাওন আমাকে নিতে আসছিল। পথিমধ্যে কচুয়া ঘোষ পাড়া নামক স্থানে আসলে কিছু যুবক আমাকে নিয়ে কটুক্তি করছিল। এ সময় আমার ভাগ্নেদের সাথে তাদের কথাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনা সঠিক নয় বলে জানান তিনি।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম সাহিন জানান, সেখানে চারটি প্রতিমা ভাংচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইতোমধ্যে শাহরিয়ার ও চঞ্চল নামের দুই যুবককে আটক করা হয়েছে।