সাভারে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:৩১
ঢাকার সাভারে এক যুবলীগ নেতা ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। বন্ধুদের সঙ্গে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে বেড়াতে গিয়ে ঐ তরুণী (১৭) গণধর্ষণের শিকার হন। ৩১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বিকেলে এই ঘটনা ঘটে।
ভিকটিমের এক কাজিন জানান, ৩১ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বিকেলে তার ফুপাত বোন বন্ধুদের সঙ্গে বিরুলিয়ার একটি এলাকায় বেড়াতে যায়। এ সময় সেখানে বিরুলিয়ার আক্রান এলাকার সাভার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সেলিম মণ্ডলের ভাই মহসিন মণ্ডল, জুয়েল মণ্ডল, খালাত ভাই হামিদ মণ্ডল, চাচাতো ভাই তানভীর মণ্ডল ও গাজীপুরের কালিয়াকৈরের পারভেজ এসে তাদের উপর হামলে পড়ে। তারা তার বোন ও বোনের বন্ধুদের পিটিয়ে আহত করে। এরপর বোনের চোখ বেঁধে জঙ্গলে নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয় লোকজন তার বোনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে তিনি ছুটে আসেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সামছুন নাহার বলেন, সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ওই তরুণীকে তার ভাই পরিচয়ে এক ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরীক্ষার পর ধর্ষণের আলামত পাওয়া যাওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টফ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) রেফার্ড করা হয়েছে।
এই ঘটনায় সাভার উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সেলিম মণ্ডলের চার ভাইসহ পাঁচজন জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী।
নির্যাতিত ঐ তরুণী বলেন, "ওখানে মহসিন মণ্ডল, জুয়েল মণ্ডল, তানভীর মণ্ডল, হামিদ আর কালিয়াকৈরের এক ছেলে, নাম হলো পারভেজ ওরা ছিল। আমি আমার বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলাম। ওরা ওখানে গিয়ে আমার বন্ধুদের আর আমাকে মারধর করে। আমাকে ওরা টর্চার করছে, ধর্ষণ করছে। এগুলো মানুষের কাজ না"।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মহসিন মণ্ডল বলেন, “ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ওই মেয়েকে আমরা চিনিও না। তাছাড়া আমি আমার ভাইকে নিয়ে ধর্ষণ করতে যাবো এটা কেউ বিশ্বাস করবে? পুলিশ তদন্ত করে দেখুক আসল ঘটনা কী?”
সাভার মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরহাদ বলেন, "মেয়েটির পরিবার থানায় এসেছে। ধর্ষণের বিষয়টি শুনেছি। এখনো কেউ আটক হয়নি। তারা লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে"।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ওসি মহসিনুল কাদির বলেন, “ধর্ষণের ঘটনাটি শুনেছি। তবে এর পেছনের রাজনৈতিক কোনো ঘটনা আছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে”।
প্রসঙ্গত অভিযুক্ত মহসিন মণ্ডল সাভার থানা যুবলীগের সহ সভাপতি। তার বড় ভাই সেলিম মণ্ডল সভাপতি। ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য সেলিম হজে যাওয়ায় বর্তমানে মহসিন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।