রাশিয়ার প্রতি স্পিকার এর আহ্বান
প্রকাশ : ১৯ মে ২০১৬, ২১:২৯
বাংলাদেশে নতুন গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কার ও উত্তোলনে রাশিয়াকে সহযোগিতা বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
ইন্টার পার্লামেন্টারি অ্যাসেম্বলি অফ দ্যা কমনওয়েলথ অফ ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্টেটস'র (আইপিএ-সিআইএস) ৪৪তম সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার রাশিয়া গেছেন স্পিকার। বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবুর্গে রাশিয়ান ফেডারেশনের ফেডারেল অ্যাসেম্বলির স্পিকার ভ্যালেনতিনা ম্যাটভিয়েনকোর সঙ্গে সাক্ষাতকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাক্ষাতের সময় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য রাশিয়ার শিক্ষা বৃত্তির সংখ্যা বৃদ্ধিরও আহ্বান জানান শিরীন শারমিন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেন্ট পিটার্সবুর্গের তাভরিস্কি প্যালেসে দুই দেশের স্পিকারের বৈঠকে শিরীন শারমিন বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঐতিহাসিক।
এসময় তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে রাশিয়ার সহায়তার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে রাশিয়ার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলের গ্যাস ও বিদ্যুতের বর্ধিত চাহিদা পূরণে রাশিয়ার সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর রাশিয়া সফরের মাধ্যমে দুই দেশের আর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেন রাশিয়ান ফেডারেশনের স্পিকার ভ্যালেনতিনা ম্যাটভিয়েনকো।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে গত ডিসেম্বরে রাশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, এর ফলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে।
ভ্যালেনতিনা তার দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক সম্পর্কের অগ্রগতির কথা উল্লেখ করে বলেন, পূর্বের তুলনায় তা ৬১ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অর্থের দিক থেকে তা এক বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
বাংলাদেশে গ্যাস উত্তোলন ও তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনে রাশিয়ার আরও বড় সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে এজন্য দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সফরের উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ১০টি গ্যাস কূপ খননের জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গাজপ্রমের সঙ্গে ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল দুটি চুক্তি করে পেট্রোবাংলা।