দিনাজপুরে শিশু ধর্ষিত
প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০১৭, ১৩:৩৬
২৪ আগস্ট ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যা দিবসেই দিনাজপুরে সাড়ে ৪ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
কাহারোল উপজেলায় সাড়ে ৪ বছরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে নশিপুর গম গবেষণা কেন্দ্রের মসজিদের ইমাম ও খোশালপুর ফোরকানিয়া মাদরাসার শিক্ষক মো. সাখাওয়াদ হোসেনকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার মো. সাখাওয়াদ হোসেন জয়পুর হাট জেলার পাঁচ বিবি উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দীনের ছেলে।
২৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুরে পুলিশ তাকে সুন্দরপুর ইউনিয়নের গড়নুরপুর গ্রামের খোশালপুর ফোরকানিয়া মাদরাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।
কাহারোল থানা পুলিশের এসআই মো. এরশাদ আলী জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কাহারোল উপজেলার ৫নং সুন্দরপুর ইউনিয়নের গড়নুরপুর গ্রামের খোশালপুর ফোরকানিয়া মাদরাসায় শিশুটি আরবি পড়ার জন্য আসে।
এ সময় মাদরাসার শিক্ষক মো. সাখাওয়াত হোসেন শিশুটিকে ধর্ষণ করে। শিশুটি বাড়িতে ফিরে তার মা-বাবাকে বিষয়টি জানায়। এরপর এলাকার লোকজন এসে শিক্ষক সাখাওয়াদ হোসেনকে মারপিট করে। সংবাদ পেয়ে দুপুরে কাহারোল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সাখাওয়াদকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।
শিশু ইয়াসমিন ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনার প্রথম প্রতিবাদকারী সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেন, ধর্ষণের এ ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি ও তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাহারাল থানা পুলিশকে বলেছি।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এই ঘটনায় মহিলা পরিষদের সভাপতি কানিজ রহমান, সাধারণ সম্পাদক ড. মারুফা বেগমসহ নেতারা তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং ধর্ষণ ও নির্যাতনের কারণে যেসব হত্যাকাণ্ড হচ্ছে, সেসব ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কাহারোল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী বলেন, গ্রেপ্তার শিক্ষক মো. সাখাওয়াদ হোসেন তার অপরাধ স্বীকার করেছেন।