বঙ্গবন্ধুর দর্শন আত্মস্থ করতে হবে: স্পিকার
প্রকাশ : ২৪ আগস্ট ২০১৭, ১৬:২২
স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রমানের আদর্শ, দেশপ্রেম ও অর্থনৈতিক মুক্তির দর্শন আত্মস্থ করতে হবে।
তিনি ২৩ আগস্ট (বুধবার) রাজধানীতে বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০১৭ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর এক অঙ্গুলির হেলনে জাতি,ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলার আপামর জনতা রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ছিনিয়ে এনেছিল বাংলার স্বাধীনতার লাল সূর্য, আর তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।
অনুষ্ঠান বিশেষ অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ এমপি বক্তৃতা করেন। এছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান ও উপাধ্যাক্ষ প্রফেসর মুক্তিরানী সাহা বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেগম বদরুন্নেসা সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হোসনে আরা শেফালী।
স্পিকার বলেন, আগস্ট মাস শোকের মাস। ১৫ আগস্ট ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছিল। জাতির পিতা ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। হত্যাকান্ড থেকে নারী এবং শিশুও রেহাই পায়নি।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন এ জাতি বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের জন্য অপেক্ষা করেছে। ইনডেমিনিটি বিলের মাধ্যেমে এই বিচারে বাঁধা সৃষ্টি করা হয়েছিল। কিন্তু সত্যের জয় অনিবার্য। বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বাংলার মাটিতে সম্পন্ন করা হয়েছে।
ড.শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শৈশব হতেই বঙ্গবন্ধু ছিলেন অকুতোভয়। একারণে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর চুলচেরা বিশ্লেষন প্রয়োজন। আইয়ুব ও ইয়াহিয়ার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে শোষনহীন ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু ছিলেন অবিচল ও আপোষহীন। ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করেও তাকে অবদমিত করা যায়নি। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে অন্যায়ের কাছে তিনি কখনও মাথা নত করেননি।
তাইতো তিনি বলেছিলেন “ফাঁসির মঞ্চে দাড়িয়েও আমি বলবো- আমি বাঙালি, বাংলা আমার দেশ, বাংলা আমার ভাষা”।
তিনি বলেন, কোন প্রলোভন বা মোহই বঙ্গবন্ধুকে আচ্ছন্ন করতে পারেনি। জনতার মুক্তির প্রশ্নে যখন যে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন,তখন তিনি তা’ই করেছেন। ১৯৫৭ সালে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেন। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর নি:স্বার্থ, নির্লোভ ও নির্মোহ সত্ত্বার প্রতিফলন দেখা যায়। আজও বাংলার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত প্রতিধ্বনিত হয় সেই বজ্রকণ্ঠ “আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চাইনা, আমি বাংলার মানুষের অধিকার চাই”।
স্পিকার বলেন, দ্রুতই বাংলাদেশ নিন্ম মধ্যম আয়ের দেশ হতে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ স্থান করে নেবে উন্নত বিশ্বের মানচিত্রে। প্রতিষ্ঠিত হবে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত শোষনহীন সোনার বাংলা, যা ছিল বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের মূল লক্ষ্য।