শ্রেনিকক্ষে শিক্ষিকাকে গণধর্ষণ, আসামি রবিউল গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০১৭, ১৪:২৫
বরগুনার বেতাগীতে স্বামীকে আটকে রেখে শ্রেণিকক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত চার নম্বর আসামি মোঃ মেহেদী হাসান রবিউলকে (১৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
২০ আগস্ট (রবিবার) গ্রেপ্তারকৃত রবিউল বেতাগী উপজেলার হেসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের মোঃ সুলতান হোসেনের ছেলে।
বরগুনার পুলিশ সুপার বিজয় বসাক পিপিএম বলেন, ‘ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ২০ আগস্ট (রবিবার) সকালে মেহেদী হাসান রবিউলকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিউলকে ঘটনা সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে হাজির করা হবে।
বরগুনার বেতাগীতে স্বামীকে আটকে রেখে শ্রেণিকক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে গত ১৭ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বেতাগী থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন সংখ্যালঘু পরিবারের ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, বেতাগীর হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের মোঃ হিরন বিশ্বাসের ছেলে সুমন বিশ্বাস (৩৫), আব্দুল বারেক মিয়ার ছেলে মোঃ রাসেল (২৪), আঃ কুদ্দুস কাজীর ছেলে সুমন কাজী (৩০), মোঃ সুলতান হোসেনের ছেলে মোঃ রবিউল (১৮), আঃ রহমানের ছেলে মোঃ হাসান (২৫) ও মোঃ আবদুর রহমান হাওলাদারের ছেলে মোঃ জুয়েল (৩০)।
এর আগে গত ১৮ আগস্ট (শুক্রবার) রাতে বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে একই এলাকার কদমতলা গ্রামের মৃত আমজাদ আলী হাওলাদারের ছেলে আবদুর হাকিম হাওলাদার (৪৫) ও একই গ্রামের মৃত আজাহার কাজীর ছেলে কুদ্দুস কাজী (৪২)কে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বেতাগী উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারি শিক্ষকা ও তার স্বামী গত ১৭ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) স্কুল ছুটির পর বিদ্যালয়ে বসে কথা বলছিলেন। তাদের কথোপকথন দেখে অভিযুক্তরা স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে ওই শিক্ষিকা ভয়ে স্কুলের প্রধান দরজায় তালা লাগিয়ে বন্ধ করে দেন। এ সময় অভিযুক্তরা তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তার স্বামীকে এলোপাথারি মারধর করে স্কুলের একটি কক্ষে আটকে রেখে অপর একটি কক্ষে স্কুল শিক্ষিকাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে চলে যায়।