পদ্মার ভাঙনে চরভদ্রাসনের ২০ বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন
প্রকাশ : ১৫ আগস্ট ২০১৭, ২৩:০৮
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় গত দুই দিনের অব্যাহত পদ্মা নদীর ভাঙনে ২০টি বাড়ি, ১৫ বিঘা ফসলি জমি ও বিভিন্ন প্রজাতির দুই শতাধিক গাছ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে আতঙ্কে রয়েছে নদী পাড়ের মানুষ। ১২ আগস্ট (শনিবার) সন্ধ্যার পর থেকে এ ভাঙন শুরু হয়। এদিকে ভাঙনের ফলে চরম হুমকিতে রয়েছে এলাকার সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল।
নদীর ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানো অনেকেই আশেপাশের সরকারি রাস্তায় আশ্রয় নিচ্ছে। ওই গ্রামের মৃত রশিদ ডাক্তারের বাবা মো. হোচেন মোল্যা (৯৫) আক্ষেপ করে বলেন, নির্বাচন আসলে শুধু শুনি আমাগো ভোট দেন নদী ভাঙন ফিরামু। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। তিনি আরও বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে আমার বাড়ি ভাঙা শুরু হয়েছে। নদী ভাঙনে জমিজমা বিলীন হয়ে গেছে।
ভাঙনের শিকার হাজেরা খাতুন (৭০) জানান, তার বাড়ি এ পর্যন্ত তিন বার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। এখন শেষ সম্বল ভিটেমাটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান এ জি এম বাদল আমিন বলেন, পদ্মা নদীর ভাঙনে শুধু কয়েকটি গ্রাম নয়, চরম হুমকিতে রয়েছে এখানকার সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও উপজেলা পরিষদ। তিনি আরো বলেন, দ্রুত পদ্মা নদীর ভাঙন রোধ করা না হলে ধীরে ধীরে বিলীন হয়ে যাবে চরভদ্রাসন উপজেলার অস্তিত্ব।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সগীর হোসেন বলেন, আমি ও জেলা প্রশাসক ভাঙনের বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কয়েকবার আলাপ করেছি যাতে করে ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।