‘বাংলাদেশে অনেকে বাঁহাতিদের বেয়াদব মনে করে’
প্রকাশ : ১৩ আগস্ট ২০১৭, ১৪:২০
অমিতাভ বচ্চন, জুলিয়া রবার্টস, অ্যাঞ্জেলিনা জোলি, বারাক ওবামা, জর্জ বুশ, পেলে, ম্যারাডোনা কিংবা বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুস্তাফিজুর রহমান নামগুলো অনেকেরই চেনা অথবা প্রিয়।
নামজাদা এই মানুষগুলোর সবার একটি ব্যাপারে রয়েছে দারুণ মিল। এরা সবাই বাঁহাতি।
সাধারণভাবে ডানহাতে কাজ করাটাই প্রচলিত, তাই একটা সময় একজন বাঁহাতি মানুষকে সমাজে মেনে নেওয়াটা সহজ ছিল না।
এই চিন্তা থেকেই ইউরোপে কয়েক দশক আগে থেকে শুরু হয় বাঁহাতি দিবস উদযাপন। কিন্তু বাংলাদেশের সমাজে বাঁহাতিরা কতটা সাদরে গৃহীত হন?
ঢাকার বাসিন্দা নুসরাত জাহান জানান, বাঁহাতি হবার জন্য তাকে নানা ধরণের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে।
তিনি বলেন, যখন হাত দিয়ে খেতে শুরু করি তখন প্রথম বিষয়টাতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিলো। আমি দুহাতে খেতাম। আমাকে ডানহাতে খাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হতো। লেখা শুরু করার পরও ডানহাতে লেখার জন্য চাপ দেওয়া হতো। ছোটবেলায় এমনকি একটা সময়ে আমার বাঁহাত কিছুদিন বেঁধেও রাখা হয়েছিলো।
মানুষ কেন বাঁহাতি হয় সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। তবে বিশ্বের দশ শতাংশ মানুষ বাঁহাতি। তবে এটি উত্তরাধিকার সূত্রেও হয়ে থাকে যেমন নুসরাত জাহানের মেয়েও বাঁহাতি। নুসরাত জাহান এমনকি সেলাইও করেন বাঁহাতে।
বিভিন্ন সংস্কৃতিতে তাদের নিয়ে রয়েছে নানা ধরনের সংস্কার। বাঁহাতিদের এমনকি জোর করে ডানহাতি বানানোর চেষ্টাও আছে।
নুসরাত জাহান বলেন, 'বাঁহাতি হওয়ার কারণে আমাকে বিয়ের পর ব্যাপক হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। বাংলাদেশে অনেকে বাঁহাতিদের বেয়াদব মনে করে'।
সূত্র: বিবিসি বাংলা