‘ভবনে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক’
প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০১৭, ১৪:০৩
ঢাকায় টানা বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ও জনদুর্ভোগ থেকে রেহাই পেতে এবার বাড়ির নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক করতে মত দিয়েছেন পরিবেশবিদ ও পানিসম্পদ প্রকৌশলীরা। এতে করে বৃষ্টির কারণে সড়কে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ প্রায় ৭০ শতাংশ কমে যাবে। সেইসঙ্গে সংরক্ষণ করে রাখা বৃষ্টির পানি দিয়েই নগরীতে অন্তত ১৫ শতাংশ পানির চাহিদার মেটানো যাবে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ভবিষ্যতে রাজধানীতে বহুতল বাড়ির নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকাকে বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নিচ্ছে।
সম্প্রতি জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে আয়োজিত এক আন্তবিভাগীয় সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেনও ভবনের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখার বাধ্যবাধকতা তৈরির জন্য রাজউকের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন।
গণমাধ্যমকে রাজউকের পরিকল্পনা সদস্যসচিব জিয়াউল হাসান জানিয়েছেন, রাজউকের ২০০৮ সালের ঢাকা মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন করে ‘ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, পরিবর্তন, সংরক্ষণ, অপসারণ) বিধিমালা-২০১৬’ নামে নতুন বিধিমালা প্রণয়ন করা হবে।
তিনি বলেছেন, সংশোধিত বিধিমালায় বৃষ্টির পানি সংগ্রহ ও ভূগর্ভস্থ পানি রিচার্জ করার জন্য বিধান রাখা হয়েছে। বিধিতে বলা হয়েছে, নির্মীয়মান ইমারতের ছাদে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ এবং তা ব্যবহারের জন্য এই ব্যবস্থা ইমারত কনস্ট্রাকশনের অংশ হিসেবে গণ্য হবে। ভবন নির্মাণের জন্য যখন আমরা অনুমোদন দেব, তখন আবশ্যিকভাবে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ এবং ব্যবহারে উদ্দেশে রিচার্জ সামগ্রী থাকবে এমন শর্ত থাকতে হবে।
ভবনের গ্রাউন্ডে যে এলাকা থাকবে তার পরিমাণ ৫০০ বর্গমিটার বা তার বেশি হলে এ বিধানের বাধ্যবাধকতা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, গেজেট আকারে বিধিমালা প্রকাশের পর ছাদে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বাধ্যবাধকতা তৈরি হবে।