রিমান্ড শেষে তুফানের স্ত্রী-শাশুড়ি কারাগারে
প্রকাশ : ০৩ আগস্ট ২০১৭, ১৮:৪৪
বগুড়ায় ছাত্রী ধর্ষণ ও পরে মাসহ ওই ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় দুই আসামি তুফান সরকারের স্ত্রী আশা ও শাশুড়ি রুমির রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম ৩ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দুই আসামিকে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে তৃতীয় দফায় পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শ্যামসুন্দর রায় রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। সেই সঙ্গে প্রয়োজনে সাতদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) আসামি তুফান সরকার ও তার সহযোগীরা এসএসসি পাস এক ছাত্রীকে ভালো কলেজে ভর্তি করার কথা বলে গত ১৭ জুলাই শহরের নামাজগড় এলাকায় তাদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন। ধর্ষণের ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে গত ২৮ জুলাই (শুক্রবার) বিকেলে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা ও তার বড় বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তার রুমকিসহ কয়েকজন মিলে ওই ছাত্রী ও তার মাকে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেন। তাদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এই ঘটনায় দুটি মামলা করা হয়। পুলিশ তুফান, তার স্ত্রী আশা, শাশুড়ি রুমি, স্ত্রীর বড় বোন পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুমকি, শ্বশুর জাহিদুল, পাঁচ সহযোগী আতিকুর, মুন্না, দিপু, আলী আজম ও রূপম, গাড়িচালক জিতু ও নাপিত জীবনকে গ্রেপ্তার করে। এর মধ্যে আতিকুর ও জীবন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তুফান, মুন্না ও রুমকি পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন। বাকিরা কারাগারে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ জানান, ৩ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) আদালতে আসামি আশা ও রুমিকে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করলে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শ্যামসুন্দর রায় রিমান্ড নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। প্রয়োজনে সাতদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন।