সরিয়ে ফেলা হয়েছে সেই নিব্রাস এর ফেসবুক
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০১৬, ১৮:৪৮
রাজধানীর গুলশান ২ এর ৭৯ নং সড়কে হলি আর্টিসান রেস্তোঁরায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত ৫ হামলাকারীর ছবি প্রকাশ করেছিল আইএস। সেই ছবি থেকেই সন্ধান মিলে এসব হামলাকারীদের। ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে বেরিয়ে আসে এদের একজনের পরিচয় যার নাম ছিল নিব্রাস ইসলাম।
শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে হামলাকারীদের একজন নিব্রাস ইসলাম এর কিছু ছবি ও ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এর লিংক। সেই লিংক থেকেই জানা যায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল এই নিব্রাস। সেখান থেকে মালয়েশিয়ায় পড়তে গিয়েছিল সে। গান আর খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা থাকা এই ছেলে পরবর্তীতে কিভাবে আইএস এর সাথে জড়িয়ে পড়ে তা জানে না কেউ।
রবিবার নিব্রাস এর সেই ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে গেলে দেখা যায় তা কাজ করছে না। তার অ্যাকাউন্টটি কে বন্ধ করেছে তা নিশ্চিত নয়।
ছবির সূত্র ধরে পরিচয় মিলে আরেক হামলাকারীর যার নাম জানা যায় মীর সামিহ মুবাশের। মাহবুবুর রহমান ও নিঝুম মজুমদার এর ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা যায়, মুবাশের স্কলাস্টিকার ছাত্র ছিল। এ লেভেল পরীক্কার আগেই গত মার্চ মাসের শুরু থেকে সে নিখোঁজ। কোচিং এ যাওয়ার কথা বলে বেরিয়ে যায় মুবাশের। এরপর তার আর কোন খোঁজ মেলেনি। ফেসবুকে তার কোন অ্যাকাউন্টও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
রোহান ইমতিয়াজ নামে আরেকজনের একটি ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে যেখানে তাকে বাবা আওয়ামী লীগ নেতা ইমতিয়াজ খান বাবুল ও মায়ের সাথে দেখা যায়। বেশ কিছুদিন ধরে নিখোঁজ ছিল সে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে ৮/৯ জন অস্ত্রধারী যুবক 'আল্লাহু আকবর' বলে স্লোগান দিতে দিতে হলি আর্টিসান নামক ঐ রেস্তোঁরায় আক্রমন চালায়। এসময় তারা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে সবাইকে জিম্মি করে নেয় ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন বনানী থানার ওসি সালাহ উদ্দিন ও ডিবির সহকারী কমিশনার রবিউল। পুলিশ সদস্য সহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
শনিবার সকালে উদ্ধার অভিযান শেষে দুপুরে ২০ জন বিদেশির জবাই করা লাশ উদ্ধারের কথা জানায় আইএসপিআর। ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে শ্রীলঙ্কার দুজন ও জাপানের এক
নাগরিক রয়েছেন।
অভিযান শেষে ৬ জঙ্গি নিহত ও একজনকে গ্রেপ্তার করার কথা বলা হলেও ৫ জন জঙ্গির নাম ও লাশের ছবি প্রকাশ করা হয়।