সিরাজগঞ্জে চৌহালীতে ঝুঁকি নিয়ে যমুনা পারাপার
প্রকাশ : ১৮ জুলাই ২০১৭, ০২:২০
সিরাজগঞ্জ জেলা সদর থেকে যমুনা নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন চৌহালী উপজেলার বাসিন্দাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। একদিকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা, অদক্ষ চালক অপর দিকে লাইফ সাপোর্ট জ্যাকেট না থাকায় মারাত্মক ঝুঁকি মাথায় নিয়ে পাড়াপাড় হতে হয় কৃষি প্রধান এ অঞ্চলের মানুষদের।
স্থানীয়রা জানান, চৌহালী উপজেলা সদর অনেক আগেই যমুনা নদীতে চলে গেছে। এছাড়া নদী ভাঙনের কাবলে পড়ে উপজেলার সিংহভাগ সড়ক পথই বিলীন হয়ে গেছে। যে কারণে এ উপজেলার মানুষদের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে শুস্ক মৌসুমে ঘোড়ার গাড়ি/পায়ে হাঁটা ও বর্ষায় নৌকাই প্রধান মাধ্যম।
চৌহালী ডিগ্রি কলেজ চত্বরে অস্থায়ী ভাবে চলছে উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদের কার্যক্রম। যেখানে প্রতিদিন সেবা নিতে আসা শতশত মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌ পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বর্তমান উপজেলা সদরের তিন দিকে নদী দ্বারা বেষ্টিত থাকায় এসব এলাকার মানুষদেরকে নৌ পথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।
উপজেলা সদরের সাথে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের যোগাযোগের প্রধান সড়কটি দু’বছর আগে নদীতে বিলীনের পর দুর্ভোগের সীমা নেই। তাদেরকে পায়ে হেঁটে ও নৌকায় প্রয়োজনীয় কাজে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের সাথে জেলা প্রশাসনের যোগাযোগর জন্য ইঞ্জিল চালিত নৌকা অথবা নাগরপুর টাঙ্গাইল হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর দিয়ে জেলা সদরে যেতে হয়। এতে সময় ও অর্থে অপচয় হয়।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান জানান, যমুনা নদীতে ইঞ্জিল চালিত নৌকায় যাতায়াত আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ। তবে এসব নৌকা মেরামত ও নতুন নৌকা তৈরীতে তাদেরকে বলা হয়েছে। এছাড়া নৌকা গুলোতে লাইফ সাপোর্ট জ্যাকেট সরবরাহে এনজিও প্রতিনিধিদের এগিয়ে আশার আহ্বান জানান তিনি।