'আগের চেয়ে ভালো আছে সাবিনা'
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০১৭, ২২:৩৬
নির্যাতনের শিকার শিশু গৃহকর্মী সাবিনার শারীরিক অবস্থা এখন আগের চেয়ে ভালো আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে এ শিশু বাদী হয়ে যে মামলা করেছে, সেই মামলার আসামি এখনো পলাতক।
১১ জুলাই (মঙ্গলবার) পল্লবী থানায় এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আসিফ ইকবাল বলেন, "সাবিনা খুব ভালো চিকিৎসা পাচ্ছে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। চোখের ফোলাসহ অন্যান্য অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। তবে মামলার আসামি আয়েশা লতিফ এখন পর্যন্ত পলাতক। মামলার বাদীর দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি"।
এসআই আসিফ ইকবাল জানান, মামলার বাদী শিশুটি নিজেই। তাই তার আর আলাদা করে জবানবন্দি নেওয়ার দরকার নেই। মামলার এজাহারেই সে তার নির্যাতনের কথা উল্লেখ করেছে। আসামি ধরার পাশাপাশি মামলার দ্রুত চার্জশিট দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, ছয় মাস আগে টাঙ্গাইলের ১১ বছর বয়সী সাবিনা ঢাকায় কাজ নেয় লে. কর্নেল তসলিম আহসানের বাসায়। মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, শিশুটির ওপর এই নির্যাতন চালান তসলিম আহসানের স্ত্রী আয়েশা লতিফ। জানা গেছে, ঘটনার সময় তসলিম আহসান যশোর ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত ছিলেন। আয়েশা লতিফের এক মেয়ে আছে। বর্তমানে তিনি ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা গেছে।
সাবিনার ভাষ্য মতে ডিম পোচ করতে গিয়ে ডিমের কুসুম ছড়িয়ে যাওয়ায় সাবিনার বুকে ও হাতে গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দেন ‘ম্যাডাম’ আয়েশা লতিফ। রুটি বানানোর বেলুন দিয়ে পেটান। এতে আঘাতে কালো হয়ে ফুলে প্রায় বন্ধ হয়ে যায় সাবিনার দুই চোখ। মাথা, গলা, পিঠ, ঊরুসহ সারা শরীরেও নতুন-পুরোনো অসংখ্য দাগ।
পল্লবী থানা, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) এবং সাবিনাকে উদ্ধারকারী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে সাবিনা এ কথা জানিয়েছে।
৩ জুলাই সকালে সাবিনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে ‘উন্নত চিকিৎসা’র জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। এখন সে সেখানেই চিকিৎসাধীন।
শিশুটির মামলায় আইনি সহায়তা দিচ্ছে বিএনডব্লিউএলএ।