'তোকে মেরে ফেললে লাশ নিতে কেউ আসবে না'
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০১৭, ২১:৪৭
ফেনীতে এবার ফাতেমা (১৪) নামের এক গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়ে পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিছানায় কাতরাচ্ছে।
গত ৭ জুলাই (শুক্রবার) নির্যাতন শিকার হয়ে পালিয়ে পরশুরাম উপজেলার বাঁশপদুয়া গ্রামের বাড়িতে আসলে মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
নির্যাতিতার মা রাশেদা আক্তার জানান, চলতি বছরের মে মাসে এক নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে ফেনীর নাজির রোডে বাবু নামের এক মোবাইল ব্যবসায়ীর বাসায় মাসিক ১,৭০০ টাকা বেতনে কাজে দেন বড় মেয়ে ফাতেমা আক্তারকে। কয়েকদিন যেতে না যেতে গৃহকর্তার স্ত্রী ঝিলিক তার উপর নানাভাবে নির্যাতন শুরু করেন। ঠিকমতো খাবার না দিয়ে মেঝেতে ঘুমাতে দিতো। বিষয়টি মাকে ফোনে বলার পর ফাতেমার উপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ৭ জুলাই (শুক্রবার) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৃহকর্ত্রী ঝিলিক ফাতেমাকে ঝাড়ু দিয়ে পেটাতে থাকে। এসময় অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে ফাতেমাকে চোখে মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল ঘুষি মারতে থাকে। গলায় পা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে।
এসময় ঝিলিক বলেন, 'তোর কেউ নেই। তোকে মেরে ফেললে লাশ নিতে কেউ আসবে না'।এ সময় ঝিলিকের ফোন বেজে উঠলে ফাতেমাকে রেখে কল রিসিভ করতে যায়। সে সুযোগে ফাতেমা পালিয়ে গিয়ে আরেকটি বাসায় আশ্রয় নেয়। পরদিন ৮ জুলাই (শনিবার) তাকে পরশুরামের গাড়িতে করে বাড়িতে পাঠায় আশ্রয়দাতা বাসার মালিক। ওইদিনই তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় পরশুরাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পরশুরাম স্বাস্থ কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আবু তাহের জানান, হাত-পাসহ তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ফাতেমাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পরশুরাম থানার পরিদর্শক (ওসি) আবুল কাশেম চৌধুরী জানান, বিষয়টি জেনে তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে।