জাপানের ‘বেড়াল দ্বীপ’ রহস্য

প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১২:৩৩

জাগরণীয়া ডেস্ক

জাপানের দ্বীপ আওশিমার দৈর্ঘ দেড় কিলোমিটারের কিছু বেশি। বর্তমানে সেখানে জনা পনেরো বৃদ্ধ-বৃদ্ধা বাস করেন। আর রয়েছে ‘অগুনতি’ বেড়াল! আশ্চর্য ব্যাপার হলেও, এটাই সত্যি। এ কারণে দ্বীপটির পরিচয় ‘নেকোজিমা’নামেও, যার অর্থ ‘বেড়াল দ্বীপ’।

আওশিমার মতো, জাপানে এরকম বেড়াল দ্বীপ রয়েছে আরও এক ডজন। ইঁদুরের দল জেলে-মাঝিদের মাছ ধরার জাল কেটে দিত। জেলেরা তাদের হাত থেকে তাদের জাল রক্ষার্থেই স্মরণাপন্ন হয় বিড়ালের। 

১৯৪৫ সালেও এই দ্বীপে বসবাস করতেন ৯০০ মানুষ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, আওশিমা দ্বীপের বেশিরভাগ মানুষ চলে যান জনজীবনের মূল স্রোতে, রুজির টানে। তারপরও দ্বীপেই থেকে যান হাতে গোনা কিছু সংখ্যক মানুষ। 

২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমে আসে আওশিমার ‘মার্জার পরিবার’-এর (মার্জার মানে বিড়াল) কথা। তার পর থেকেই এই দ্বীপে যাতায়াত শুরু হয়েছে পর্যটকদের। আওশিমা ছাড়া তাশিরোজিমা, জেনকাইশিমা ও মুজুকিজিমা দ্বীপও  পরিচিতি পেয়েছে বেড়ালের জন্য। 

একমাত্র জাপান-ই নয়, যারা বিড়ালদের জন্য জায়গা ছেড়ে দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় এমন দ্বীপ রয়েছে ১৮ ও ১৫টি। তারপরও অন্য সবার চেয়ে ব্যতিক্রম জাপান। কারণ জাপান যে শুধু আস্ত দ্বীপ ছেড়ে দিয়েছে, তা নয়। বিড়াল দ্বীপের পাশাপাশি জাপান জুড়ে রয়েছে ক্যাট-ক্যাফে, ক্যাট-স্রাইন ও ‘হ্যালো কিটি’ নামে ক্যাট-শপ!  
  

0Shares
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত