সেরা সুন্দরী হয়েও মুকুট হারিয়েছেন যাঁরা
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:৩৩
বিভিন্ন সময়ে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় জেতা সেরার মুকুট ফিরিয়ে দিতে হয়েছে কোনো কোনো সুন্দরীকে। সম্প্রতি বাংলাদেশেও এমনটি ঘটেছে।
ভেনেসা উইলিয়ামস, মিস অ্যামেরিকা, ১৯৮৪
১৯৮৩ সালে প্রথম আফ্রিকান অ্যামেরিকান হিসেবে ‘মিস অ্যামেরিকা’ হয়েছিলেন। কয়েকমাস পর ‘পেন্টহাউস’ ম্যাগাজিনে তাঁর (বামে) য়েকটি অননুমোদিত নগ্ন ছবি ছাপা হলে বিতর্ক তৈরি হয়। এরপর তাঁর মুকুট ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল।
অক্সানা ফেডোরোভা, মিস ইউনিভার্স ২০০২
রুশ এই সুন্দরী মিস ইউনিভার্স হিসেবে কয়েকমাস দায়িত্ব পালন করেন। একসময় তিনি গর্ভবতী বলে গুজব ছড়ায়। কিন্তু অক্সানা সেই গুজব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। পরে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ‘দ্য হাওয়ার্ড স্ট্যার্ন শো’ নামে এক টিভি অনুষ্ঠানে বারবার তাঁকে যৌনতা বিষয়ক প্রশ্ন করা হলে তিনি বিরক্ত হন। এমন প্রশ্ন যে করা হবে, সে ব্যাপারে তাঁকে আগে সতর্ক না করায় সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন তিনি।
ক্যারি প্রিজিন, মিস ইউএসএ ২০০৯
অনলাইনে তাঁর আংশিক নগ্ন ছবি প্রকাশ হওয়ায় চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনে প্রিজিনের মুকুট কেড়ে নেয়া হয়েছিল।
ক্রিস্টহিলি ক্যারিডে, মিস পুয়ের্টো রিকো ইউনিভার্স ২০১৬
এক সাংবাদিকের সঙ্গে রূঢ় ও উদ্ধত আচরণের অভিযোগে প্রতিযোগিতার আয়োজক কর্তৃপক্ষ ক্যারিডের মুকুট ছিনিয়ে নেয়। ক্যারিডে পরে ঐ সাংবাদিকের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে টেলিভিশনে প্রচারিত ঐ সাক্ষাৎকারের সময় তাঁর মন এমনিতেই বিক্ষুদ্ধ ছিল।
ইতির এসেন, মিস তুর্কি ২০১৭
খেতাব জেতার পরের দিনই তা কেড়ে নেয়া হয়। কারণ, তখন জুলাই মাসে করা এসেনের একটি টুইট কর্তৃপক্ষের নজরে পড়ে। তুরস্কে অভ্যুত্থান চেষ্টার এক বছর পূর্তিকে ঘিরে ঐ টুইটটি করেছিলেন এসেন। তিনি ঐ ঘটনায় নিহতদের প্রতি সম্মান জানিয়েছিলেন। ‘‘জুলাই ১৫ শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে আজ সকালে আমার পিরিয়ড হয়েছে। শহিদদের রক্তের সম্মানে আজ নিজে রক্তাক্ত হয়ে আমি দিনটি উদযাপন করছি,’’ এই ছিল এসেনের টুইট।
জান্নাতুল নাঈম এভ্রিল, বাংলাদেশ
বিয়ের তথ্য গোপন করার অভিযোগে ‘মিস বাংলাদেশ’-এর মুকুট জয়ের কয়েকদিন পরই সেটি হারান এভ্রিল। জানা যায়, ১৬ বছর বয়সে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তিন মাস পর তার সমাপ্তি ঘটে। বাংলাদেশের আইনে বাল্যবিবাহকে বিয়ে হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া না হলেও মিস ওয়ার্ল্ড কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তথ্য গোপন করেছেন এভ্রিল। তাই এভ্রিলকে বাদ পড়তে হয়েছে। তার জায়গায় জেসিয়া ইসলাম মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন।
মিস গ্র্যান্ড মিয়ানমার ২০১৭, সোই আইন সি
কয়েকটি নিয়ম ভঙ্গ করায় তিনি মিস গ্র্যান্ড মিয়ানমার ২০১৭-এর মুকুট হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। তবে সোই আইন সি-র ফেসবুকে প্রকাশ করা একটি ভিডিও আসল কারণ বলে গুজব উঠেছে। ঐ ভিডিওতে নিহত মানুষের ছবি দেখা যাচ্ছে। রোহিঙ্গা মুসলিমরা এর জন্য দায়ী বলে আইন সি-কে ভিডিওতে বলতে শোনা গেছে। অবশ্য আয়োজক কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভিডিওর কারণে মুকুট কেড়ে নেয়ার খবরটি সত্য নয়।
সূত্র: ডিডাব্লিউ