পারকিনসনিজম (Parkinsonism)

প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:২৯

জাগরণীয়া ডেস্ক

মস্তিস্কের এই রোগটি সম্পর্কে সর্ব প্রথম ধারণা দেন জেমস পারকিনসন, আর তার নাম অনুসারেই এই নাম। সারাক্ষণ হাত পা কাপা, শরীরের মাংসপেশী অস্বাভাবিক শক্ত হয়ে থাকা, স্পর্শকাতরতা কমে যাওয়া এই উপসর্গ গুলো সম্পর্কে জেমস পারকিন্সনই সর্বপ্রথম ধারনা দেন।

বিভিন্ন অষুধ বা বিষাক্ত পদার্থের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, মস্তিস্কের প্রদাহ, ক্রমাগত মাথায় আঘাত পাওয়া (যেটা Boxer দের হয়ে থাকে), নিউরোসিফিলিস, উইলসন ডিজিজ, হানটিংটন ডিজিজ ইত্যাদি রোগের কারনে পারকিনসন ডিজিজ হতে পারে।

এ রোগ সাধারনত ৫০ বছরের বেশি বয়সের লোকদের হয়ে থাকে। ভাবলেশহীন মুখ-অবয়ব, মুখদিয়ে লালা পরা, হাটা বা চলাচল শুরু করতে দেরী হওয়া, ছোটো পদক্ষেপে দ্রুত লয়ে হাটা, হাটার সময় হাত না নড়া, হাটতে হাটতে ঘুরতে গেলে ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা, সবসময় হাত-পা কাপা, মাংসপেশী শক্ত হয়ে যাওয়, সুক্ষ কাজ করার ক্ষমতা হারানো ইত্যাদি নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত থাকে পারকিনসন রোগীর জীবন।

সিটিস্ক্যান সহ রক্তের আরো কিছু পরীক্ষা করা হয় ঠিক কি কারনে রোগটি হয়েছ তা নির্ণয় করার জন্য। নিউরোলজিস্টের তত্ত্বাবধানে এই রোগের চিকিৎসা করাতে হয়। যদিও অল্প কিছু ওষুধ এই রোগে ব্যবহার করা হয়; ফিজিওথেরাপি, স্পিচ থেরাপি ইত্যাদির মাধ্যমে পূনর্বাসন করাই হলো চিকিৎসার মূল লক্ষ্য।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত