গ্যালাকটোসিল (Galactocele)

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৬:৩০

জাগরণীয়া ডেস্ক

এটা স্তনের সিস্ট (Cyst) জাতীয় একটি টিউমার, যা নিরীহ শ্রেণির একটি রোগ। খুব বেশি নারীকে এই রোগে ভূগতে দেখা যায়না। স্তনের বোঁটার পাশের গাঢ় (Areola) অংশের ঠিক নিচে ছোট্ট একটি দানার মতো এটা শুরু হয়। এর বিশেষত্ব হচ্ছে মা যেদিন প্রথম স্তন্য দান শুরু করেন সেদিন থেকেই এই সিস্ট এর আবির্ভাব ঘটে এবং আস্তে আস্তে এটা বড় হতে থাকে। আসলে এই সিস্ট এর ভেতরে দুধ জমা হয়ে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়। এভাবে বাড়তে বাড়তে এটা একসময় বিশাল আকার ধারন করতে পারে এমনকি স্তন বড় হয়ে রোগীর হাটু পর্যন্ত চলে আসতে পারে।

তাই শুরুতেই এর চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। এজন্য প্রথমেই সিস্ট টিকে আল্ট্রাসনোগ্রাম করিয়ে এর অবস্থান নিশ্চিত করে সিরিঞ্জের একটি সুই ঢুকিয়ে Aspiration করা হয়। সিস্ট খুব বড় হলে অবশ্য আল্ট্রাসনোগ্রাম করা নাও লাগতে পারে। Aspiration এ প্রাপ্ত তরল পরীক্ষা করলেই নিশ্চিত হওয়া যায় যে এটা গ্যালাকটোসিল। অনেক সময় শুধু এসপিরেশনের করলেই সিস্ট জাতীয় অসুখ ভালো হয়ে যায়। তবে এটা যদি বার বার হতে থাকে বা ভালো না হয় তা হলে কসমেটিক সার্জন বা ব্রেস্ট সার্জন দিয়ে অপারেশন করে বের (Excision) করে দিতে হয় এবং বায়োপসি ও হিস্টোপ্যাথলজি পরীক্ষা করাতে হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত