স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০১৭, ০২:২১

জাগরণীয়া ডেস্ক

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার মহেলা রাবেয়া সিরাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি নির্জন কক্ষে সুমী আক্তার নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে স্থানীয় সন্ত্রাসী রণি মিয়া ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

৩০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমী আক্তার (১৫) মহেলা গ্রামের মো. রফিক মিয়ার মেয়ে।

পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

স্থানীয় প্রতিবেশী ও কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, বৃহস্পতিবার মহেলা রাবেয়া সিরাজ উচ্চ বিদ্যালয়ে স্কুল কেবিনেট কাউন্সিলের নির্বাচন চলছিল। ভোটের কারণে স্কুলের অধিকাংশ কক্ষ খালি ছিল। সুমী স্কুলে গিয়ে ওই নির্বাচনে ভোট দিয়ে ফেরার সময় স্থানীয় বখাটে রণি মিয়া (২৬) তাকে ডেকে নিয়ে মুখ বেঁধে বেদম মারধর ও ধর্ষণ করে।

পরে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয়রা সুমীকে উদ্ধার করে ভ্যানে উঠিয়ে হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সুমী মারা যায়।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানায়, সুমীকে ছাড়াও স্থানীয় কয়েক মেয়েকে রণি ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেছে। এ নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশও হয়েছে।

নিহত সুমীর বাবা মো. রফিক মিয়া জানান, সুমী সকালে ভোট দিতে স্কুলে যায়। পরে ভ্যান চালক সুমীর মরদেহ বাড়িতে রেখে চলে যায়।

তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, প্রতিবেশী প্রভাবশালী আব্দুস সামাদ মিয়ার বখাটে ছেলে সন্ত্রাসী রণি মিয়া তাদের জিম্মি করে রেখেছিল। সুমীকে জিম্মি করে এর আগেও কয়েকবার ধর্ষণ করে এবং সে দৃশ্য ভিডিও করে রাখে। ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বার বার ধর্ষণ করেছে। রণির ডাকে না যাওয়ায় একাধিকবার সুমীকে মারধরও করেছে।

মহেলা রাবেয়া সিরাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম মিয়া জানান, ৩০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সারাদিন স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন চলেছে। ওই নির্বাচনে ব্যস্ত থাকায় অন্য কোন বিষয়ে তিনি জানেন না। তবে, রণির অপকর্ম নিয়ে ইতোপূর্বে সালিশ হয়েছে বলে জানান তিনি।

কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মো. আখেরুজ্জামান জানান, ছাত্রীটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রণি মিয়া পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা মো. রফিক মিয়া মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান ওসি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত