রবীন্দ্র সংগীতে দেশ সেরা প্রজ্ঞা লাবনী
প্রকাশ : ২৮ মে ২০১৭, ১৭:৫৬
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের শিক্ষিকা প্রজ্ঞা লাবনী আন্তঃশিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউশ (পি.টি.আই) সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় রবীন্দ্র সংগীতে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হয়েছেন।
প্রজ্ঞা লাবনী মির্জাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তার বাবার নাম নন্দ দুলাল গোস্মামী এবং মা নুপুর গোস্মামী। বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার বাগজান গ্রামে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান প্রজ্ঞা লাবনীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন। ২৩ মে ঢাকায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত হয় আন্তঃপিটিআই সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। ওই প্রতিযোগিতায় রবীন্দ্র সংগীতে অংশ নিয়ে প্রজ্ঞা লাবনী প্রথম স্থান অর্জন করেন।
২০১৬ সালে টাঙ্গাইল পিটিআই থেকে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতায় (রবীন্দ্র সংগীত) অংশ নিয়ে প্রথম হয়ে সবার নজরে আসেন লাবনী। পরে একেক করে জেলা আঞ্চলিক বিভাগীয় পর্যায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে জাতীয় পর্যায়ে পৌঁছান।
প্রজ্ঞা লাবনী ময়মনসিংহ সরকারি আনন্দমোহন কলেজ থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিযে ভাতগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি সংগীত চর্চাও চালিয়ে যেতে থাকেন।
শিক্ষিকা প্রজ্ঞা লাবনী পিতা নন্দ দুলাল গোস্মামী একজন স্বনামধন্য সংগীত শিল্পী। সংগীত শিল্পী হিসেবে তার পরিচিতি রয়েছে টাঙ্গাইলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে। তিনি তার দুই মেয়ে প্রজ্ঞা লাবনী গোস্মামী এবং শানন্দা গোস্মামীকে সংগীতে তালিম দেন। এক মেয়েকে রবীন্দ্র সংগীত এবং আরেক মেয়েকে নজরুল সংগীত শেখান তিনি।
মেয়ের সফলতায় তার বাবা নন্দ দুলাল গোস্মামী বলেন, পিতা হিসেবে নয় একজন শিক্ষক হিসেবে আমি সফল। বিগত দশ বছর যাবত আমি সাধনা করে আসছিলাম। নিজে যেখানে পৌঁছাতে পারিনি মেয়ে এবং আমার ছাত্রীকে সেখানে পৌঁছে দিতে পেরেছি।
শিক্ষিকা প্রজ্ঞা লাবনী তার অনুভূতি ব্যাক্ত করতে গিযে বলেন, যে যেখানেই থাকি লক্ষ্য এবং ইচ্ছা শক্তি নিয়ে এগিয়ে গেলে সফলতা আসবে এটা আমার বিশ্বাস। তিনি সকলের আশির্বাদে সংগীত চর্চা চালিয়ে ভবিষ্যতে এর উপর উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়ার আশাবাদব্যাক্ত করেন।