বন্ধ্যাত্বের নেপথ্যে ভুল জীবনযাপন
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০১৭, ২০:৩৮
বন্ধ্যাত্বের জন্য শুধু নারীদের দায়ী করার প্রবণতা রয়েছে অনেকের মাঝে। কিন্তু এর পেছনে শুধু নারী নয় বরং নারী ও পুরুষ উভয়েরই ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। সম্প্রতি গবেষকরা জীবনযাপন ও পরিবেশগত বিভিন্ন বিষয়ের কারণেও বন্ধাত্বের প্রমাণ পেয়েছেন। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে আইএএনএস।
শিল্পোন্নত দেশগুলোতে প্রচুর পরিমাণে মানুষ বন্ধ্যাত্বের শিকার হচ্ছে। আর এর কারণ অনুসন্ধানে তাদের জীবনযাপনের বিষয়টি উঠে এসেছে। উন্নত দেশগুলোর বর্তমান নাগরিক জীবনে ক্রমবর্ধমান ব্যস্ততার ফলে জীবনযাপনে পরিবর্তনের কারণটিও উঠে এসেছে গবেষণায়।
এ বিষয়ে সাম্প্রতিক গবেষণাটি করেছেন ডেনমার্কের গবেষকরা। ইউনিভার্সিটি অব কোপেনহেগেনের এ গবেষণাটিতে উঠে এসেছে বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ পুরুষের শুক্রাণুর মান কমে যাওয়া। বর্তমানে জীবনযাপনসহ নানা কারণে পুরুষের শুক্রাণুর মান কমে যাচ্ছে বলে জানান গবেষকরা।
এ বিষয়ে গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক প্রফেসর নিয়েলস ই. স্কেকিব্যায়েক বলেন, ‘২০ থেকে ২৫ বছর বয়সী পুরুষদের শুক্রাণুর মান দেখে আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছি।
গড় একজন পুরুষের ৯০ শতাংশ শুক্রাণুই অস্বাভাবিক। সাধারণত এত বেশি শুক্রাণু থাকে যে অস্বাভাবিক শুক্রাণুতে প্রভাব ফেলে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘তবে যাই হোক, এটা শিল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থান। এর কারণে জন্মহার কমে যেতে পারে।’
পুরুষের প্রজননঅঙ্গের সমস্যার কারণে এমনটা হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। আর এ সমস্যার পেছনে দায়ী রয়েছে পরিবেশগত বিষয় ও জীবনযাপন।