৬টি প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন
প্রকাশ : ১০ জুন ২০১৬, ০১:৫৪
সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ত্বকের বয়স্কভাব, বলিরেখা, চোখের ছানি ও ত্বকের ক্যানসারের জন্য দায়ী। অতিবেগুনী রশ্মির সংস্পর্শে শরীরের কী পরিমাণ ক্ষতি হবে তা নির্ভর করে সূর্যরশ্মির তীক্ষ্ণতা, সংস্পর্শের সময়কাল ও আপনার ত্বক কতটা সুরক্ষিত তার ওপর।
মনে রাখা জরুরি, উত্তাপ কম বা বেশি যেমনই হোক, কোনো অতিবেগুনী রশ্মিই নিরাপদ নয়। তাই এর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে নিতে হবে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা। অতিবেগুনী রশ্মি থেকে সুরক্ষায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে সানস্ক্রিন। কিন্তু বাজারের সানস্ক্রিন বা সানস্ক্রিনযুক্ত বডি প্রোডাক্টগুলোকে অনেকেই ভরসা করতে পারেন না। সেক্ষেত্রে সানস্ক্রিন হিসেবে প্রাকৃতিক কিছু উপাদান ব্যবহার করতে পারেন -
নারিকেল তেল– নারিকেল তেল প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন। এতে রয়েছে এসপিএফ ৪-৬ প্রপার্টিজ।
শিয়া বাটার – এসপিএফ-(৪-৬) যুক্ত শিয়া বাটার প্রাকৃতিকভাবে ত্বকে সুরক্ষা দেয়। কড়া রোদে এটি হতে পারে আপনার পারফেক্ট সানস্ক্রিন।
আমন্ড অয়েল – ত্বকের জন্য আমন্ড অয়েল অনেকেরই প্রিয়। এবার থেকে রোদে বের হওয়ার আগে ত্বকে আমন্ড অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এতে রয়েছে এসপিএফ-৫।
জোজোবা, সানফ্লাওয়ার বা সেসেমি অয়েল – ত্বক এ তেলগুলোকে খুব সহজে শুষে নেয় ও ন্যাচারাল সানব্লক হিসেবে কাজ করে।
ইউক্যালিপটাস ও ল্যাভেন্ডার অ্যাসেনশিয়াল অয়েল– যদিও ইউক্যালিপটাস অয়েলে খুব সামান্য পরিমাণ এসপিএফ রয়েছে, তবে এটি নিরাপদ। অন্যদিকে ল্যাভেন্ডার অয়েল ত্বককে শীতল রাখে ও এর হিলিং প্রপার্টিজ ত্বক মেরামত করে।
ভিটামিন ই অয়েল – ত্বকে পুষ্টি যোগায় ও ময়েশ্চারাইজ করে। ন্যাচারাল সানস্ক্রিন হিসেবে একে বিশ্বাস করা যায়। এখানে একটি কথা জেনে রাখুন, সব ধরনের অ্যাসেনশিয়াল অয়েল আবার সান প্রোটেকশন দেয় না। যেমন– সাইট্রাস অ্যাসেনশিয়াল অয়েল সূর্যালোকে ত্বকের সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে দিতে পারে।