ভয়াল ১২ নভেম্বর, আজও শিউরে উঠেন উপকূলের মানুষ

প্রকাশ : ১২ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:৪৬

জাগরণীয়া ডেস্ক

আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। উপকূলবাসীদের জন্য অন্যতম ভয়াল ও আতংকের একটি দিন। ১৯৭০ সালের এই দিনে মহাপ্রলয়ংকারী ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় পুরো উপকূলীয় এলাকা।

দেশের ইতিহাসের অন্যতম বড় প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় আর জলোচ্ছ্বাস লক্ষ্মীপুরের রামগতির মেঘনা উপকূলীয় চরআবদুল্লাহ কমলনগরের ভুলুয়ানদী উপকূলীয় চরকাদিরাসহ নোয়াখালীর হাতিয়া, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় হানা দেয়।  মেঘনা ও ভুলুয়া নদীর উপকূলীয় চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা ৮ থেকে ১০ ফুট পানির নিচে তলিয়ে যায়। প্রলয়ংকারী এ রাতে লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়।

সেদিনের স্মৃতি মনে করে স্বজনহারারা জানান,   রেডিওতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত দেয়া হলেও উপকূলে পর্যাপ্ত রেডিও ছিল না। যাদের ছিল তারা বিশ্বাস করেনি, হয়নি কোন প্রচারও। ওই দিন সকাল থেকেই গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি ছিল। সন্ধ্যায় থেকে হালকা বাতাস শুরু হয়। গভীর রাতে ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস আঘাত হানে। যার গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ২২২ কিলোমিটার। ঝড় আর পাড়াহসম স্রোতে লন্ড ভন্ড হয়ে যায় উপকূল। ভেসে যায় নারী শিশু ও বৃদ্ধসহ অসংখ্য মানুষ।

ঘূর্ণিঝড় থামার পর চারিদিকে শুধু লাশ আর লাশ। লাশের গন্ধে বিষাক্ত হয়ে উঠে পরিবেশ। ৩-১০ ফুটের জলোচ্ছ্বাসের কারণে মাটি দেয়া যায়নি মৃত মানুষগুলোকে।

১২ নভেম্বর দিনটির কথা স্মরণ করে নির্দিষ্ট কিছু সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করে। মিলাদ মাহফিল, কোরআনখানী ও নিহতদের স্মরণে স্মৃতিচারণমূলক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। এরই মধ্যে এ দিনটিকে উপকূল দিবস করার দাবি উঠেছে।

সূত্র: বাসস

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত