প্রবল বৃষ্টি ঝরাবে মোরা
প্রকাশ : ৩০ মে ২০১৭, ১৩:৫৬
ঘণ্টায় একশ কিলোমিটারেরও বেশি বেগের বাতাস নিয়ে চট্টগ্রাম উপকূলরেখা অতিক্রম করার পর এখন স্থলভাগে উঠে এসেছে প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোরার কেন্দ্রভাগ বা চোখ।
এর প্রভাবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টির সঙ্গে চলছে প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, দুর্যোগপূর্ণ এই আবহওয়া আরও ১২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।
বুয়েটের ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট (আইডব্লিউএফএম)-এর পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৩০ মে (মঙ্গলবার) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজার ও আশপাশের এলাকায় ১২৮ মিলিমিটার থেকে ২৫৬ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।
ইনস্টিটিউটের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মোহন কুমার দাস বলেন, “সাগরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু কার্যকর রয়েছে। সেই সঙ্গে ভারি জলীয় বাষ্প নিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করার পথে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।”
প্রসঙ্গত, ৬৫ থেকে ১১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতকে ‘ভারি বর্ষণ’, ১১৫ থেকে ২০৫ মিলিমিটার পর্যন্ত ‘অতি ভারি বর্ষণ’ এবং ২০৫ মিলিমিটারের বেশি হলে তাকে ‘চরম ভারি বর্ষণ’ বলেন আবহাওয়াবিদরা।
এদিকে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তাফা জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় রাতভর ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর রাত পর্যন্ত তিন লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দুযোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রতি জেলায় ১০ লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, "মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সবসময় পরিস্থিতি জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং স্বেচ্ছ্বাসেবক দলের কাজ তদারক করছে। কোনোভাবেই জীবনের যাতে ক্ষতি না হয় সে চেষ্টা করছি আমরা। সাময়িকভাবে মালামালের ক্ষতি হলেও তা পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে"।