বগুড়ায় বিলুপ্তির পথে শিমুলগাছ ও ফুল
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০১৭, ২৩:৩৭
বগুড়া জেলা’সহ গাবতলী উপজেলাতে শিমুলগাছ ও ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য, সৌরভ ও শোভা এখন আর চোখেই পড়ে না। পাখির কোলাহল ও শিমুল ফুলের গন্ধে যেন মন জুড়িয়ে যায়। কিন্তু কালের বিবর্তনে সেই চিরচেনা শিমুলগাছ এখন বিলুপ্তির পথে।
জানা যায়, বসন্তকালে শিমুল পলাশ গাছ শুধু অপরূপ শোভা বৃদ্ধি করে না সৌন্দর্যের পাশাপাশি গাছের মালিকও আর্থিক ভাবে লাভবান হতো। শিমুলগাছের তুলা লেপ তোষক’সহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও শিমুলগাছের শিকড় ও গাছের ছাল মানবদেহের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ন ভেষজ ঔষধ তৈরী কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে। সে ঔষধে মানবদেহের অনেক উপকার হয়। আর্থিকভাবে লাভবান হয় কৃষক।
কিন্তু শিমুলগাছ দিনদিন বিলুপ্তির পথে চলে যাওয়ার ফলে তুলা, গাছের কাঠ, ঔষধ তৈরীতে সংকট দেখা দিয়েছে। অল্প সংখ্যক শিমুলগাছ চোখে পড়লেও তুলার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। এ গাছের এত গুণ থাকার পরেও গাছটি সংরক্ষণ ও রক্ষায় কোন উদ্যোগ নেই।
কাগইল এলাকার শিমুলগাছ মালিক নুহু আলম জানান, আমি একটি শিমুলগাছ থেকে যে পরিমান তুলা পাই সে তুলা পরিবারের কাজে ব্যবহারের পরেও বাকী তুলা বাজারে বিক্রি করে প্রতিবছর বেশ লাভবান হতে পেরেছি।
গাবতলী উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা জুলফিকার আলী হায়দার জানান, শিমুলগাছ একটি গুরুত্বপূর্ন গাছ। গাছটি মানুষের জন্য খুব উপকারী। ব্যক্তি পর্যায়ে শিমুলগাছ সংরক্ষণে কৃষকদের মাঝে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
গাবতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহীদ সরকার জানান, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দাবিদার এই শিমুলগাছ ও ফুল। রাস্তায় বা খোলা জায়গায় শিমুলগাছ রোপনে কৃষকদের পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।
শিমুলগাছকে ব্যক্তি, সংগঠন, সরকারি দপ্তরের বনবিভাগ ও বেসরকারি পর্যায়ে সংরক্ষণ করতে জোর দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ সচেতনমহল।