বিপিসি এবং আই.ইউ.সি.এন এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক (MOU) স্বাক্ষর

প্রকাশ : ১০ মে ২০১৬, ১২:১৬

জাগরণীয়া ডেস্ক

Bangladesh Climate Change Trust Fund (BCCTF) এর আওতায় বাংলাদেশে ইকো-ট্যুরিজম, কমিউনিটি বেইজড ট্যুরিজম, রেসপন্সিবল ট্যুরিজম এবং সর্বোপরি টেকসই পর্যটন উন্নয়ন এর লক্ষ্যে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এবং আই.ইউ.সি.এন-বাংলাদেশ এর মধ্যে ৯ মে সকাল ১১ টায় একটি সমঝোতা স্মারক (MOU) স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এর পক্ষে সংস্থার চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী, পিএইচ.ডি এবং আই.ইউ.সি.এন.- বাংলাদেশ এর পক্ষে সংগঠনের কান্ট্রি রিপ্রিজেন্টেটিভ ইশতিয়াক উদ্দিন সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। সমঝোতা স্মারকটি আই.ইউ.সি.এন.-বাংলাদেশ এর কান্ট্রি অফিস ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করার ফলে উভয় সংস্থা আগামি ৫ বছরের জন্য সারা বাংলাদেশের বিশেষ করে সিলেট বিভাগের হাওর অঞ্চলসহ অন্যান্য এলাকায় যেমন- টাঙ্গুয়ার হাওর, ধর্শপাশা, শ্রীমঙ্গল, তাহিরপুর, বিশম্ভপুর, ছাতক, লাওয়াছড়া এবং কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্ন্টিন্স দ্বীপ, মহেশখালিসহ বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন উন্নয়ন, স্থানীয় জনগণকে পর্যটন কর্মকান্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে তাঁদের জীবিকায়ন সৃষ্টি এবং বিভিন্ন ধরণের পর্যটন উন্নয়নে গবেষণা পরিচালনাসহ ইকোট্যুরিজম প্রকল্প বাস্তবায়নে পারস্পরিক সহযোগিতা প্রদান করবে। উভয়সংস্থা বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেইঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড (BCCTF)এর আওতায় পর্যটন উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব/ধারণাপত্র এবং বাস্তবায়নে পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা প্রদান করবে মর্মে সমঝোতা স্বাক্ষরে উল্ল্যেখ করা হয়। 

সঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পর্যটন সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ এবং পরিবেশ বান্ধব পর্যটন উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে দুই সংস্থা একযোগে কাজ করার জন্য অনেকগুলো উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়। তন্মেধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হচ্ছে - লোকাল কমিউনিটি এবং দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য কমিউনিকেশন হাব তৈরী, বাটারফ্লাইপার্ক, ইকোপার্ক, ওয়াইল্ড লাইফপার্ক, অভয়ারণ্য, গ্রীণ রেসপাইট ইত্যাদি পরিবেশ বান্ধব সুবিধাদি স্থাপন। এছাড়া, পর্যটন কর্মকান্ডের ফলে পরিবেশগত নেতিবাচক প্রভাব হ্রাসকরণের লক্ষ্যে জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটনসংস্থা (UNWTO) কর্তৃক প্রণীত‘বিশ্বব্যাপীপর্যটকদের জন্য আচরণবিধি’ (UNWTO Global Code of Ethics) বাস্তবায়ন এবং প্রাকৃতিক-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও নৃ-তাত্ত্বিক জাতিগোষ্ঠির সংস্কৃতির বিকাশকরা। এছাড়া উভয় সংস্থা জাতিসংঘ সংস্থাসমুহ যেমন-Technical Cooperation among Developing Countries (TCDC) এবং Economic Cooperation among Developing Countries (ECDC) Framewrok এর আওতায় সহযোগিতা প্রাপ্তির লক্ষে একত্রে কাজ করবে মর্মে সমঝোতা স্মারকে উল্ল্যেখ করা হয়।

সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পর্যটন সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেশের পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটন উন্নয়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্যে দুই সংস্থা একযোগে কাজ করার জন্য বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এবং আইইউসিএন বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিস একমত পোষণ করেন।

ইশতিয়াক উদ্দিন আহমেদ, কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ, আইইউসিএন বাংলাদেশ বলেন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য আমাদের পরিবেশ, প্রতিবেশ, ইকোসিস্টেম সম্পর্কে জানতে হবে। আর সেটা যদি হয় রেসপনসিবল ইকো ট্যুরিজমের মাধ্যমে তবে আমি বিশ্বাস করি তা আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মদের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে অনুপ্রাণিত করবে এবং বিদেশী পর্যটকদের আগ্রহ তৈরী করে দেশকে বহিঃবিশ্বের কাছে নতুনভাবে পরিচয় করাবে। 

ড. অপরূপ চৌধুরী, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন বলেন, রেসপনসিবল ইকো ট্যুরিজম ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এর জন্য এই যৌথ উদ্যোগ দেশের উন্নয়নে অনন্য ভুমিকা রাখবে। যা সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোল ২০৩০ অর্জনেও ভুমিকা রাখবে। 

সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এর মওদুদ রাশিদ সাফদরি, শাহাদাত হোসেন, মোঃ ফারুক আহম্দে ও আইউসিএন বাংলাদেশ এর মোহাম্মদ সাহেদ মাহাবুব চৌধুরী, মো: আনোয়ার হোসেইন, গাজী মো: সাইফুলসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্তিত ছিলেন।   

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত