নওগাঁয় অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনে নদীগর্ভে আবাদি জমি
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৪:৩৫
নওগাঁর আত্রাইয়ে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনে এলাকাবাসীর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নদী থেকে বালু উত্তোলনের প্রয়োজনীয় রোডম্যাপ, উত্তোলন পদ্ধতি এবং পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা ছাড়াই বালু উত্তোলনের ফলে এলাকার রাস্তাঘাট, মানুষের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
জানা যায়, সরকারিভাবে আত্রাই নদী খনন প্রকল্প অনুমোদন হয়। সে অনুযায়ী প্রায় দেড়মাস পূর্বে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর আয়োজনে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান আত্রাইয়ে এ কাজের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর প্রায় একমাস পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও সম্প্রতি উপজেলার ভরতেঁতুলিয়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ পল্লী বিদ্যুতের জায়গা ও পোস্ট অফিসের মাঠ ভরাট করার জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করে।
এদিকে বালু উত্তোলনের প্রথম দিনেই এলাকার রাস্তাঘাট ভাঙ্গা শুরু হয়ে যায়। তারপরও তারা অবাধে বালু উত্তোলন করতে থাকে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করায় পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার ফলে ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনরে ওয়ারিশদের জমি ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
ভরতেঁতুলিয়া গ্রামের মৃত আবুল হোসেনর বিধবা স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বিবি বলেন, আমরা গরিব মানুষ, এতটুকুই আমাদের ফসলী জমি। তাও আবার উনারা (বিআইডব্লিউটিএ) দহ বানিয়ে দিল। এখন আমি কি করে সন্তানদের নিয়ে চলবো।
সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রজেক্ট ম্যানেজার রাসেল বলেন, আমরা জানি এখানে ভরাট দিতে গেলে পানি নিস্কাশনে সমস্যা হবে। তারপরও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পল্লী বিদ্যুতের এজিএম সাহেবদের আবদার পূরণ করতে গিয়ে এ ক্ষতিটি হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ এর টেকনিক্যাল এসিস্টেন্ট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা আশ্বাস দিয়েছি ক্ষতিগ্রস্থদের জায়গা পূরণ করে দেওয়া হবে।
নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আত্রাই জোনের এজিএম ফিরোজ হোসেনকে একাধিকবার তার সরকারি মোবাইলফোনে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।