আমার কাছে এই সমাজের ক্ষমা চাওয়া উচিত: প্রভা
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৩, ১৭:১৯
আমার কাছে এই সমাজের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। শিল্পীদের আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য ‘লিগ্যাল উইংস অ্যান্ড ডায়ালগ’ নামে একটি টিম গঠন করেছে ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’। শনিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সংঘের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এর আনুষ্ঠানিক যাত্রা হয়। মূলত সেই অনুষ্ঠানেই এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় তার পাশে ছিলেন সংঘের সভাপতি আহসান হাবিব নাসিম, জ্যেষ্ঠ অভিনেত্রী ডলি জহুর, অভিনেতা সেলিম।
সম্প্রতি একটি লিগ্যাল নোটিশের কারণে ফের আলোচনায় এসেছেন অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। এ আলোচনার মধ্যেই জানালেন কেন তিনি সাংবাদিক থেকে দূরে থাকেন, তুললেন ‘গায়ে হাত’ দেওয়ার অভিযোগও। প্রভা বলেন, ‘এখানে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে। আমি গ্রেটফুল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে।’
তিনি বলেন, ‘ছোটবেলায় পড়ে গিয়ে ব্যথা পেলে ভয় পেতাম, কারণ আম্মু জানলে বকা দেবে। এখন ফিজিক্যালি অ্যাবিউজড হলেও হজম করে ফেলি। কারণ তার চেয়ে বড় ভয় হয় যদি জার্নালিস্ট জানতে পারে- তাহলে কী হবে! আমার জীবনে যারা (প্রেমিক) এসেছে, প্রত্যেকে যাওয়ার সময় একটা ব্লেম গেম খেলেছে। এটার মধ্যে মেন্টালি টর্চার হয়েছি, কিন্তু কাউকে কিছু মুখ ফুটে বলতে পারিনি। বরাবরই মনে হয়েছে, বললেই যদি জার্নালিস্ট জেনে যায়? ডিভোর্সের পেপার যখন ফাইল করি- নিয়ম অনুযায়ী আমার কিছু পাওনা থাকে। কিন্তু সেটা নিয়ে কথা বলতে ভয় করে, যদি সেটা খবরে চলে আসে। আমি সব কিছুই করতে পারতাম- সাংবাদিকরা যদি আমাকে সাপোর্ট করতেন।’
প্রভা বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি জানিয়েছি— আপনারা আমার সঙ্গে কথা না বলে নিউজ করবেন না। আমরাও তো চেষ্টা করি ধর্মীয় রীতি পালন করতে। যেমন রোজার সময় আমাদের মন নরম থাকে। সেই সময় প্রত্যেকেরই উচিত কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকলে ক্ষমা চাওয়া। সেই সময় আমি এটা নিয়ে গুছিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিই ক্ষমা চেয়ে। এর পরই আমার কানে আসে— নিউজ হয়ে গেছে, অবশেষে সবার কাছে ক্ষমা চাইলেন প্রভা। আমি কেন ক্ষমা চাইতে যাব? ক্ষমা তো এই সোসাইটির আমার কাছে চাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রভা নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া দুটি অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “দেখেন দুইটা গল্প বলি। একটা মেকআপ রুম, যেখানে আমরা শুটিং করে ঢুকি। মেকআপ করি। এসি খাই। আপনারা এলে বসে গল্প করি। তো এভাবে একদিন গ্রিনরুমে বসে আছি। একজন ফটোগ্রাফার ও একজন সাংবাদিক এলো। বসতে বললাম। এরপর আমি মুখে পাউডার মেখে মেকআপের প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর মধ্যে ক্লিক ক্লিক ক্লিক। আমি বললাম, ‘কেন ছবি তুলতেছেন?’ বলে, ‘আমি তো জার্নালিস্ট।’ এটার মানে কী বলেন তো? উনি সাংবাদিক বলে আমার কোনো প্রাইভেসি নাই?”
পরের অভিজ্ঞতাটি সম্পর্কে প্রভা বলেন, ‘নাম্বার টু। সেদিন শুটিং শেষ করে উবার নিয়েছি। একজন সাংবাদিকও আমার সঙ্গে উঠলেন। ভাই মানুষ। বসলেন পাশে। বললেন এয়ারপোর্টে নামিয়ে দিতে। তো সিটে বসে কথা বলতে বলতে সে আমার পায়ে হাত রাখল! বললাম, ‘তুমি আমার গায়ে হাত দিলা কেন? আমার কোনো কলিগও তো এভাবে হাত দেয় না।’ এরপর সে স্যারি বলেছে। নামকরা সাংবাদিক। আমি জানি, সে স্যারি বললেও তার ভুল রিয়ালাইজ করে নাই। সে তার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অন্যভাবে, পরে। কিভাবে তাহলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আন্তরিক হবো?’