সেই রাতের ঘটনা বর্ণনা করলেন বনি কাপুর
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০১৮, ১৮:০১
শ্রীদেবীর মৃত্যুকে অনেকেই রহস্যজনক মনে করছেন। এ বিষয়ে তার স্বামী বনি কাপুর এতোদিন মুখ খোলেননি। এবার স্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু কমল নাহতার কাছে মুখ খুলেছেন বনি কাপুর। জানিয়েছেন, মুম্বাই ফেরার পর আবারও দুবাই গিয়ে কিভাবে চমকে দেন স্ত্রীকে। একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন, আনন্দে চুম্বন করেন। এরপর যেভাবে বাথটাবে শ্রীদেবীর নিথর দেহ দেখতে পান।
বাণিজ্য বিশ্লেষক কমল নাহতা ও বনি কাপুর দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে বন্ধু। বনির সঙ্গে তার কথাবার্তা নিজের অফিসিয়াল টুইটার পেজে শেয়ার করেছেন কমল। লিখেছেন-
বনি জানিয়েছে, বারবার শ্রীদেবীকে ডেকেও সাড়া না মিললে ও বাথরুমের দরজায় টোকা মারে। এরপর বাথরুমের দরজায় ঠেলা দিতেই তা খুলে যায়। কারণ ওটা ভিতর থেকে বন্ধ করা ছিল না। (যদিও এতদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল বাথরুমের দরজা ভেঙে ঢোকেন বনি।) এটা বনির সঙ্গে শ্রীদেবীর কথাবার্তার প্রায় দুঘণ্টা পড়ে ঘটে। জুমেইরাহ এমিরেটস টাওয়ার হোটেলের ২২০১ নম্বর ঘরে ছিল ওরা।
বনির কথায়, ‘২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ওর সঙ্গে আমার কথা হয়। ও বলল পাপা ( এই বলেই বনিকে সম্বোধন করেন শ্রীদেবী) আমি তোমায় মিস করছি। আমি বললাম, আমিও তোমায় ভীষণ মিস করেছি। তখনও আমি ওকে বলিনি যে, আমি বিকেলেই দুবাই যাচ্ছি। জাহ্নবীও আমার দুবাই যাওয়াকে সমর্থন করেছিল, কারণ সে তার মায়ের ব্যাপারে একটু বেশিই চিন্তিত থাকে। কখনওই একা ছাড়তে চায় না। তার ধারণা ও একা থাকলে পাসপোর্ট, কিংবা অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ নথি হারিয়ে বসবে।’
সেদিন দুপুর সাড়ে ৩টার বিমানে বনি দুবাই উড়ে যান। হোটেলে পৌঁছন সাড়ে ৬টা নাগাদ। হোটেলে পৌঁছনোর পর দুজনে দুজনকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করেন। তারপর বনি শ্রীদেবীকে ডিনারের প্রস্তাব দেন। আর এরপরই স্নানের জন্য বাথরুমে ঢোকেন শ্রী। বনির ভাষ্যে, ‘আমি সেসময় শোবার রুমে ক্রিকেট ম্যাচ দেখছিলাম। ২০ মিনিট পরেও শ্রীদেবী না বের হলে জোরে জোরে ডাকতে থাকি। ঘড়িতে তখন ৮টা বাজে। এরপর বাথরুমে দরজা ঠেলতেই তা খুলে যায়। পানি পড়ার আওয়াজ পেয়ে ‘জান’ ‘জান’ বলে ডাকতে ডাকতে ভিতরে ঢুকে যাই। কোনো সাড়া মেলে না। কিছুটা ভয় পেয়েই ভিতরে ঢুকে দেখি, বাথটাবে পানিতে ভরে রয়েছে। শ্রীদেবীর দেহ পানিতে ডুবে আছে। তার মাথাও ডুবন্ত। সঙ্গে সঙ্গে আমি তাকে টেনে তুলি। কিন্তু কোনো সাড় ছিল না।’
কমল নাহতা কথায়, শ্রীদেবী প্রথমে অজ্ঞান হয়ে পড়ে তারপর ডুবে যান, নাকি ডুবে গিয়ে জ্ঞান হারান- একথা কেউই জানে না। তবে আমাদের ধারণা শ্রীদেবী বাঁচার জন্য হাত পা ছোড়ার সুযোগ পায়নি। কারণ বাথটাবের আশপাশে কোনো পানি পড়ে ছিল না।
সূত্র: জিনিউজ