অন্ধকার আর অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াই
প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০১৭, ১৩:৩৬
অন্ধকার আর অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রত্যয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণের আয়োজন চলছে রাজধানীসহ সারা দেশে।
১৯৮৯ সালে চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে ঢাকায় এইদিনে প্রথমবারের মতো বের করা হয়েছিল এই শোভাযাত্রা। পরে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে সর্বশেষ গত বছরের ৩০ নভেম্বর এই শোভাযাত্রাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। সেই হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পর এবারই প্রথম নববর্ষ। এ উপলক্ষে চারুকলা অনুষদ গত ২৮ বছরের উল্লেখযোগ্য মোটিফগুলো এবারের শোভাযাত্রায় সন্নিবেশিত করা হয়।
‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সত্য আর সুন্দরের আবাহনের মধ্য দিয়ে নববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি রূপসী বাংলা হোটেল চত্বর হয়ে হয়ে টিএসসি হয়ে আবার চারুকলায় গিয়ে শেষ হয়।
১৪ এপ্রিল (শুক্রবার) সকাল ৯টায় চারুকলা থেকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এবং ঢাবির উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ হাজারো বাঙালি।
অপরদিকে ছায়ানট পার করে এসেছে ৫০ বছর। সকালে সেতার-সরোদের মধুর ছন্দে বাংলা ১৪২৪ সালকে বরণ করে নেওয়ার পর সূর্যোদয়ের মুহূর্তে রমনার বটমূলে ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দাও... আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও...’ সমবেত কণ্ঠে এই গান গেয়ে পয়লা বৈশাখকে বরণ করে নিয়েছেন ছায়ানটের শিল্পীরা।
এবারের শোভাযাত্রায় মোটিভগুলোর মধ্য দিয়ে মানুষের দ্বৈত সত্তাকে তুলে ধরা হয়েছে। একদিকে থাকবে অনেকগুলো সূর্যের মুখের কাঠামো, যার একপাশে থাকবে সূর্যের আলোয় উদ্ভাসিত মুখ। আর অন্যদিকে থাকবে সূর্যের বিপরীতে অন্ধকার কদাকার মুখ। মানুষের অন্তনির্হিত এই দুই রূপ কাঠামোয় তুলে ধরা হয় এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রায়।