বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন শাহিনুর

প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:৫৬

জাগরণীয়া ডেস্ক

বয়সটা ৪০, কিন্তু সে নিয়ে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ না দেখিয়ে বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দুই সন্তানের জননী মানিকগঞ্জের শাহিনুর আকতার।

গত ২০ অক্টোবর (শনিবার) আই-ক্রিয়েশনের পৃষ্ঠপোষকতায়শেষ হয়েছে দুদিনব্যাপী ‘ফায়ারবল থ্রি ইনটু থ্রি বাস্কেটবল টুর্নামেন্ট’। ছেলেদের ১৮ দলের সঙ্গে টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল মেয়েদের ১০টি দলও। সেখানে মেয়েদের টিমে খেলে নজর কেড়েছেন ৪০ ঊর্ধ শাহিনুর।

খেলার শুরুটা কীভাবে হলো এমনই এক প্রশ্নের জবাবে বাস্কেটবল খেলোয়াড় শাহিনুর জানান, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর গ্রামে বেড়ে উঠেছে শাহিনুর। ছটবেলা থেকেই নানা খেলাধুলা করে বড় হয়েছেন। চেয়েছেন মেয়েদেরকেও খেলাধুলায় এনে ফিটনেস বাড়াতে। তাই সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া কন্যা জয়িতা ও তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ঈপ্সিতাকে রোজই নিয়ে যান তায়কোয়ান্দো শেখাতে। সেই ফাঁকে সেরে নেন নিজের প্রাতঃভ্রমনের কাজটাও। সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অল্পবয়সী মেয়েদের বাস্কেটবল অনুশীলনের দৃশ্য দেখে উৎসাহ জাগে বাস্কটবল খেলার। চারজন অভিভাবক ভর্তি হয়ে যান ক্লাসে। প্রশিক্ষণদাতা কোচ প্রথমে অবাক হলেও ভর্তি করে নেন। বাস্ততার কারণে অন্যরা ঝরে পড়লেও লেগে থাকেন শাহিনুর। সেই থেকে শাহিন বাস্কেটবলের সঙ্গেই আছেন। সেই চেষ্টায় খেলে ফেললেন থ্রি ইনটু থ্রি বাস্কেটবল টুর্নামেন্টেও।

পড়াশোনা, চাকুরী কিংবা সংসারের বাইরে যে আরেকটি জগত আছে সেদিকে নজর দেয়ার আহবান জানিয়ে শাহিনুর বলেন, ত্রিশ পেরোনোর পর মুটিয়ে যাওয়া, বিভিন্ন শারীরিক প্রতিবন্ধকতায় ভোগাসহ নানাবিধ সমস্যার উত্তরণে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, মেয়েদের সচেতনতার অভাবটা আমাকে বেশ কষ্ট দেয়। আমরা স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন না। আজকাল খুব কমবয়সী মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তাদের নানাবিধ শারীরিক জটিলতা। কেনো? কারণ তারা অন্য সবকিছুতে আছে কিন্তু খেলাধুলাতে নাই। পরিশ্রমমূলক খেলাধুলাতে নাই। বাস্কেটবলের মতো খেলা তাদের জন্য ভালো একটা সমাধান হতে পারে। আমি চাই, আমাদের মেয়েরা আরও বেশি বেশি খেলাধুলাতে আসুক।

সূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত