পুলিশ গ্রেপ্তার করলে কি করবেন, জেনে নিন
প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৭:৩৭
পুলিশ গ্রেপ্তার করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা পুলিশের কাছে নিজের নাম, ঠিকানা ও পেশাসহ পরিচয় তুলে ধরতে হবে। চাকুরীজীবি বা ছাত্র হলে পরিচয়পত্র দেখাতে হবে। এ কারণে সবসময় পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখা উচিত।
এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পরিচিত আইনজীবির ফোন নম্বর সঙ্গে রাখা যেতে পারে এবং গ্রেপ্তারের পর দ্রুত আইনজীবিকে বিষয়টি জানানো উচিত। তা সম্ভব না হলে অন্তত পরিবার, আত্নীয়স্বজন বা কাছের বন্ধু-বান্ধবকে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করা যেতে পারে।
ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে মিন্টো রোডের ডিবি অফিসে নেওয়া হয়, আর যে কোন থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলে সংশ্লিষ্ট থানায় নেওয়া হয়।
গ্রেপ্তারের পর কাউকে লকআপে রাখার আগে তার বিভিন্ন জিনিসপত্র যেমন, কাগজ, মোবাইল ফোন, টাকা-পয়সা ও ক্রেডিট কার্ড ইত্যাদি থাকলে তার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয়।
তবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার সেগুলোর একটি তালিকা তৈরি করে আটককৃত ব্যক্তির সাক্ষর নেয়। এই সাক্ষর দেবার সময় তালিকাটি পড়ে নেয়া উচিত। পুলিশ অফিসারের কাছে কোন বিবৃতি দিলে তা পাঠ করে বা বিবৃতির ভাষ্য অবগত হয়ে তাতে স্বাক্ষর করা উচিত।
গ্রেপ্তারের পর আইনজীবী বা পরিবারের কাউকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানাতে না পারলে আদালতে হাজির করার পর ম্যাজিস্ট্রেটকে সরাসরি বিষয়টি জানানো উচিত। এতে আইনি সহায়তা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। গ্রেপ্তারের পর কোনো পর্যায়ে নির্যাতনের শিকার হলে বা অসুস্থ হলে আদালতের মাধ্যমে বা নিজ উদ্যোগে মেডিকেল চেকআপ করিয়ে নিতে নেওয়া যায়। চেকআপ করালে রিপোর্টটি সংগ্রহে রাখা উচিত। চেকআপকারী ডাক্তারের পরিচয় জেনে রাখা উচিত কারণ তা পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন হতে পারে।
পুরনো কোন মামলায় গ্রেপ্তার হলে দ্রুত ঐ মামলার নম্বরসহ কাগজপত্র নিয়ে আদালতে গিয়ে জামিন শুনানীর চেষ্টা করা যেতে পারে। নতুন কোন মামলায় বা কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার হলে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে জামিন শুনানীর চেষ্টা করা যেতে পারে।