খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০১৬, ১৩:০৬
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার দিনে জন্মদিন পালন বন্ধের আর্জি জানিয়ে করা মামলায় আদালতের সমনে হাজির না হওয়ায় এ আদেশ জারি হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সাবেক এক সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতার দায়ের করা এ মামলায় ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম এ আদেশ দেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম গত ৩০ অগাস্ট এ মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই আদালত মামলা আমলে নিয়ে খালেদা জিয়াকে ১৭ অক্টোবর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়।
খালেদা সেদিন আদালতে না যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী। সেই আবেদনের শুনানি করেই বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছে বলে বাদীর আইনজীবী দুলাল মিত্র জানান।
গত দুই যুগ ধরে ১৫ অগাস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন উদযাপন হলেও তার আরও কয়েকটি জন্মদিনের হদিস পাওয়া যায়। তার জন্মসাল নিয়েও দুই রকম তথ্য পাওয়া যায়।
খালেদা জিয়ার জন্ম ১৯৪৬ সালে বলে তার নতুন করা পাসপোর্টে থাকলেও বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায় গত বছর জানান, তার নেত্রীর জন্ম ১৯৪৫ সালে।
বাংলাপিডিয়াসহ খালেদা জিয়ার জীবনীর ওপর রচিত কয়েকটি গ্রন্থে তার জন্ম বছর ১৯৪৫ সালের ১৫ অগাস্ট দেখানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতারা রাজনৈতিক নানা আলোচনায় ১৫ অগাস্ট শোকের দিন কেক না কাটার আহ্বান জানিয়ে আসছিলেন খালেদা জিয়াকে। এ বছর খালেদা কেক না কাটলেও তার জন্মদিন পালন করতে মিলাদের আয়োজন করে বিএনপি।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, বঙ্গবন্ধুকে ‘হেয় করতেই’ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে’ ১৫ অগাস্ট জন্মদিন পালন করে আসছেন।
মামলা দায়েরের সময় আইনজীবী দুলাল মিত্র বলেছিলেন, দণ্ডবিধির ৪৬৯ ধারায় করা মামলার আবেদনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের ফটোকপি, বিয়ের কাবিননামা, এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার মার্কশিট এবং ১৯৯১ সালের নির্বাচনের সময় দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত খালেদা জিয়ার জীবনবৃত্তান্ত সংক্রান্ত একটি কাটিং আদালতে জমা দিয়েছেন তারা।
এ মামলার আর্জিতে কয়েকজন সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজনকে সাক্ষী রাখা হয়েছে।