‘বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় আঘাত বেড়েছে’
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৬:৩৪
গত বছর বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর আঘাত বহুগুণে বেড়েছে বলে পর্যবেক্ষণ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
‘২০১৫ সালে বিশ্বে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বিষয়ক ইইউ’র বার্ষিক প্রতিবেদন- দেশ ও আঞ্চলিক ইস্যু’শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এ কথা।
প্রতিবেদন এ বলা হয়, গত বছর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক চর্চার ক্ষেত্র কমেছে এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, বিরোধী রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার কর্মীদের কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারও।
“বাংলাদেশের সাংবাদিক ও সম্পাদকদের উপর হুমকিও বেড়েছে; কয়েকটি সুপরিচিত সংবাদপত্রের অর্থনৈতিক সামর্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে নেওয়া হয়েছে পদক্ষেপ। ২০১৫ সালে মতপ্রকাশের উপর আঘাত বেড়েছে বহুগুণে।”
গত বছর বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়সহ চার ব্লগার ও এক প্রকাশক হত্যার ঘটনা উল্লেখ করে বাংলাদেশ এখনও ধর্মীয় উগ্রবাদের উত্থানজনিত হুমকি নির্মূল করতে পারেনি পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।
একই বছর দুই বিদেশি হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে ইইউ বলেছে, “দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থার ক্রমাবনতির প্রতিফলন।”
বাংলাদেশে মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক পরিস্থিতির ক্ষেত্রে বিচার ব্যবস্থার সংস্কার, মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত, পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন, রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা, সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিতকরণে ব্যবস্থা নেওয়া, মানবাধিকার কর্মী, নারী ও শিশুদের অধিকারের উন্নয়ন, সুশীল সমাজের প্রতি সমর্থন ও শ্রমিক অধিকারের বাস্তবায়নকে প্রাধান্য দিয়ে আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
ইউরোপের ২৮টি দেশের এ অর্থনৈতিক জোট বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানিবাজার, যেখানে সিংহভাগ পণ্যই শুল্কমুক্ত সুবিধা পায়।
ব্লগার হত্যায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইইউ সুষ্ঠু তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এতোসব নেতিবাচক দিকের সঙ্গে ইতিবাচক দিক হিসেবে ‘সামাজিক ও অর্থনৈতিক অধিকারের কিছু কিছু ক্ষেত্রে’বাংলাদেশ উন্নতি করছে।