নিরাপত্তা? না কি নজরদারি?
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০১৬, ১৮:২৭
স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু খুন হওয়ার পর থেকে সন্তানদের নিয়ে ঢাকায় শ্বশুরবাড়িতে রয়েছেন এসপি বাবুল আক্তার। সেখানে সর্বক্ষণ উপস্থিত থাকছেন পুলিশের ছয়জন সদস্য। তবে সেই পুলিশ নিরাপত্তা দিচ্ছে নাকি বাবুল আক্তারকে নজরদারিতে রাখছে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ে রয়েছেন বাবুল আক্তার এর শ্বশুর মোশাররফ হোসেন।
গত শুক্রবার মধ্যরাতে ধরে নিয়ে ১৫ ঘন্টা ধরে আটকে রেখে বাবুল আক্তারকে নাটকীয় জিজ্ঞাসাবাদের পর বাবুলের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে সোমবার মোশাররফ হোসেন বলেন, “যারা তাকে এতদিন সিকিউরিটি দিচ্ছিল, তারাই তো সেদিন তাকে নিয়ে গেল। এখন রক্ষক যদি ভক্ষক হয়ে যায়, কার উপর ভরসা রাখব?”
সেক্ষেত্রে বাবুলকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে, না কি নজরে রাখা হচ্ছে বলে মনে করছেন- প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “এটা বোঝা মুশকিল।”
মেয়ের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশ কোনো ধরনের জিজ্ঞাসাবাদ এখনও করেনি মোশাররফকে।
গত শুক্রবার মধ্যরাতে আকস্মিকভাবে স্ত্রী খুনের মামলার বাদী বাবুলকে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়বস্তু নিয়ে বাবুলও কোনো কথা বলছে না বলে জানান তার শ্বশুর। তিনি বলেন, "ডিবি অফিস থেকে ফেরার পর বাবুল একদিনও বাসার বাইরে যাননি। তাকে খুব বিষন্ন দেখাচ্ছে। কারও সঙ্গে সে কথা বলে না। শুধু একটা ঘরে থাকে”।
বাবুলকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার পর নানা গুজবের মধ্যে মোশাররফ বলেছিলেন, “আমি কোনোদিন বিশ্বাস করি না, বাবুল মিতুকে হত্যার পরিকল্পনা করতে পারে। এটা একেবারেই অসম্ভব।”
সোমবার তিনি বলেন, “আমি তো চাই, মেয়ের হত্যার বিচার হোক। আমার কাছে সেইটাই মেজর বিষয়। যারা তদন্ত করছেন তাদের কাছে কোনটা মেজর বিষয়, তারা তা বলতে পারবেন। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই। এখানে বাবুল আক্তার বা তার কোনো ভাই জড়িত কি না, জানতে চাই না। এটা তো তদন্তের কোনো অগ্রাধিকার হতে পারে না”।
সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “তবে মামলা তদন্তের আগে কোনো কিছু যেন কারও উপর চাপিয়ে দেওয়া না হয়। ঘটনা তদন্তে যেই অপরাধী হোক, তার বিচার করা হোক”।
তিনি আরো বলেন, “সব কথা চাইলেও বলা যায় না। আমরা অনেক বিষয়ে এখন মন্তব্য করতে পারছি না। আপনার জীবনেও এমন পরিবেশ আসতে পারে”।
বাবুলের শ্বশুরবাড়িতে পুলিশের পাহারার বিষয়ে খিলগাঁও থানার ওসি মাঈনুল ইসলাম বলেন, “এই বিষয়ে কোনো কথা বলতে পারব না।”