বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সহিংসতা রোধে নারীকে প্রযুক্তি ব্যবহারে সম্পৃক্ত হতে হবে
প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০১৭, ১৪:৪৬
নারী ক্রমাগত যে সহিংসতার শিকার হচ্ছে এই বলয় থেকে বের হয়ে আসতে হলে নতুন কর্মকৌশল নিতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহারে নারীকে সম্পৃক্ত করতে হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে হেল্প লাইন আছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন আছে, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে যে আইনগুলো আছে এরকম বিভিন্ন বিষয়ে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলকে সচেতন করতে হবে।
৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আন্তঃপ্রজন্ম সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। বিকেলে পরিষদের সুফিয়া কামাল ভবন মিলনায়তনে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের রোকেয়া সদনের শিল্পীদের জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং জাতীয় পতাকা, সংগঠনের পতাকা ও ৪৭টি মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধনী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
৪ দশকের অধিক সময় ধরে নারীর মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কাজ করছে। বর্তমান সময়ে এসে আমরা দেখি আজকের মহিলা পরিষদের কাছে সমাজের চাহিদা অনেক। মহিলা পরিষদ নারী আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন প্রজন্মের চিন্তা-ভাবনাকে সংগ্রহ করার প্রয়াস অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মনে করে বিভিন্ন প্রজন্ম কিভাবে নারী আন্দোলন গড়ে তুলেছে, কিভাবে নারী আন্দোলনকে অগ্রসর করে নিয়ে যাচ্ছে এবং এখনকার প্রজন্ম নারী আন্দোলন নিয়ে কী ভাবছে তার একটি মেলবন্ধন হওয়া দরকার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। শুভেচ্ছা বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু।
বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফেরদৌস আজিম, বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানিয়া হক, ওয়াইডাবিস্নউসিএর হেলেন, সাধারণ সম্পাদক মনীষা সরকার, এ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর।
আরও বক্তব্য রাখেন নারী পক্ষের সদস্য রিতা দাশ রায়, রাখী ম্রং, ব্র্যাকের পরিচালক আন্না মিনজ, ফিন্যানশিয়াল এঙ্প্রেসের বিশেষ প্রতিনিধি মুনিমা সুলতানা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য জুয়েলা জেবুন নেসা খান, ইডেন মহিলা কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী শাফকাত আলম আঁখি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক পলি মহন্ত।