প্রধানমন্ত্রীর বিমানে ত্রুটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৭ মে

প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ মে (রবিবার) দিন ধার্য করেছেন আদালত।

২৯ মার্চ (বুধবার) ঢাকার মহানগর হাকিম আহসান হাবীব এই দিন নির্ধারণ করেন।

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল ২৯ মার্চ (বুধবার)। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন করে দিন ধার্য করেন।

ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান বিষয়টি জানিয়েছেন।

এ মামলায় বাংলাদেশ বিমানের প্রধান প্রকৌশলীসহ নয়জনকে আসামি করা হলে, পরে তাদের গ্রেপ্তার করে কারাবন্দি করা হয়।

তারা হলেন- বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশান) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স) এস এ সিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান, সামিউল হক, লুৎফুর রহমান, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান।

গেল বছর ২০ ডিসেম্বর রাতে বিমানবন্দর থানায় মামলাটি দায়ের করেন বাংলাদেশ বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট) অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার এম এম আসাদুজ্জামান।

মামলা সূত্র জানায়, ওই বছর ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। পরে বিমানটি তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাদে জরুরি অবতরণ করে। সেখানে ত্রুটি সারিয়ে চার ঘণ্টা পর বুদাপেস্টের উদ্দেশে যায় বিমান। ওই বিমানের ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাঙ্কের একটি নাট ঢিলে হওয়ার পেছনে নাশকতা ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে ২৮ নভেম্বর পাঁচ সদস্যের কমিটি করে বিমান মন্ত্রণালয়। ঘটনা তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আরও দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নয়জনকে বরখাস্ত করা হয়।