'জঙ্গিবাদ, লিঙ্গ বৈষম্য ও দারিদ্র্য দূরীকরণে শূণ্য সহিষ্ণু নীতি গ্রহণ করতে হবে'
প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০১৭, ০০:২১
জঙ্গিবাদ, লিঙ্গ বৈষম্য ও দারিদ্র দূরীকরণে ‘শূণ্য সহিষ্ণু নীতি’ গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন মাননীয় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, এমপি। ২ মার্চ দি ডেইলি স্টার-এর আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে ‘২০৩০ সালে নারী-পুরুষের সমতা অর্জন: ট্রেড ইউনিয়নসহ সকল ক্ষেত্রে এখনই এক-তৃতীয়াংশ নারীপ্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে বাস্তবতা ও করণীয়’- শীর্ষক একটি মতবিনিময় সভায় এই কথা বলেন তিনি। নারীশ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত প্ল্যাটফরম ‘নারীশ্রমিক কন্ঠ’ আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৭ উদযাপন উপলক্ষে ২ মার্চ ২০১৭ সকাল ১০ টায় এই মতবিনিময়ের আয়োজন করে। সভায় মাননীয় তথ্যমন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় নারীশ্রমিক কন্ঠে’র আহ্বায়ক শিরীন আখতার এমপির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফ্রেডরিক- এবার্ট-স্টিফটুং (এফইএস)’র আবাসিক প্রতিনিধি ফ্রানজিস্কা কর্ন। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, শ্রম অধিদপ্তরের শ্রম পরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ইন্সটিটিউশন অব লেবার স্টাডিজ-বিলস্’র যুগ্ম মহাসচিব জাফরুল হাসান, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর শরমিন্দ নিলোর্মী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর তানিয়া হক, জাতীয় প্রেসক্লাব এর সেক্রেটারী ফরিদা ইয়াসমিন এবং বিলস্’র নির্বাহী পরিচালক সুলতান উদ্দিন আহম্মদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসানুল হক ইনু এমপি বলেন, "যেখানে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ সেখানে টেকসই উন্নয়ন হয় না। তারা তাদের মনগড়া ধারণা সমাজকে চাপিয়ে দেয় যা নারীর সমতা, ক্ষমতা ও নারী প্রতিনিধিত্বের ক্ষেত্রে অন্তরায় সৃষ্টি করে। নারীসমাজকেও নারীর ক্ষমতায়নে এবং নারীর সমতা প্রতিষ্ঠায় জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ দমনে এগিয়ে আসতে হবে"।
সভাপতির বক্তব্যে শিরীন আখতার এমপি নারীর সমতা প্রতিষ্ঠায় পুরুষতান্ত্রিকতার মূলৎপাটন এবং নারীর শত্রু জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে নারীদের রুখে দাঁড়াতে বলেন।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, নারীর উন্নয়ন হয়েছে কিন্তু প্রকৃত ক্ষমতায়ন হয়নি। ঘরে-বাইরে নারী দ্বিগুণ বোঝা নিয়ে কাজ করছে। নারীরা যদি বাইরের দায়িত্ব নিতে পারে তাহলে পুরুষদেরও ঘরের দায়িত্ব নিতে হবে। আইন, নীতিমালা নারীর সুবিধাগুলিকে গুরুত্ব দিয়ে করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় সঞ্চালনা ও ধারণাপত্র পাঠ করেন কর্মজীবী নারী’র নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক। অনুষ্ঠানে গার্মেন্টশ্রমিক, গৃহশ্রমিক, অভিবাসীশ্রমিক, চামড়া ও জুতা শিল্প শ্রমিক, কারচুপী শ্রমিকসহ ট্যানারি, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ ইত্যাদি এর সেক্টরাল প্রতিনিধিগণ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, ‘নারীশ্রমিক কন্ঠ’ নারীশ্রমিক সংগঠন ও নারীশ্রমিকদের সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার একটি প্ল্যাটফর্ম, যার সচিবালয় হিসেবে ‘কর্মজীবী নারী’ কাজ করছে।