‘মেয়েজামাই’ এর হাতে শ্বশুর খুন
প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ২২:২০
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় এক মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে শ্বশুরকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। হামলায় বাধা দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন নিহতের স্ত্রী ও মেয়েসহ আরও চারজন।
নিহত কামাল মিয়া (৪৭) উপজেলার রতনপুর গ্রামের মঞ্জিল মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন কামাল মিয়ার স্ত্রী ছায়েরা খাতুন (৪৩), মেয়ে নূরজাহান (২৫), নেক জাহান (১৮) ও ভাগিনা স্বপন মিয়া (১৯)। তাদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মাধবপুর থানার ওসি মোক্তাদির হোসেন জানান, শনিবার ভোর রাতে বাঘাসুরা ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ হামলায় জড়িত অভিযোগে কামাল মিয়ার জামাতা সাজু মিয়াকে (৩২) খুঁজছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শায়েস্তাগঞ্জের সুতাং গ্রামের মস্তু মিয়ার ছেলে সাজু মিয়ার সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে রতনপুর গ্রামের কামাল মিয়ার মেয়ে নুরজাহানের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সাজু ও নুরজাহানের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে তাদের দাম্পত্য সম্পর্কের বিচ্ছেদ হয়। তবে উভয় পরিবারের চেষ্টায় সম্পর্ক আবার স্বাভাবিক হয়। কিন্তু পরে আবার একই সমস্যা দেখা দিলে নুরজাহান বাবার বাড়িতে অবস্থান করতে থাকেন।
মাধবপুর থানার ওসি মোক্তাদির হোসেন জানান, "শনিবার ভোর রাতে সহযোগীদের নিয়ে সাজু শ্বশুর বাড়ি রতনপুরে আসেন এবং অতর্কিতে তিনি ধারালো অস্ত্র দিয়ে শ্বশুর কামাল মিয়াকে কোপাতে থাকেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে কামাল মিয়ার স্ত্রী ছায়েরা খাতুন, মেয়ে নুরজাহান, নেক জাহান ও ভাগিনা স্বপন মিয়াকেও কুপিয়ে জখম করেন সাজু। আহতদের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে গেলে সাজু মিয়া ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। পাঁচজনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক কামাল মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।”
বাকিদের অবস্থার অবনতি হলে তাদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় বলে জানান তিনি।
ওসি মোক্তাদির আরও জানান, খবর পেয়ে সকালে পুলিশ গিয়ে আলামত সংগ্রহ করে। আর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায়।
এ ঘটনায় এখনও কেউ মামলা করেনি। তবে সাজু মিয়াকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।