প্লেন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলে মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৬:২৩
প্লেন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘বেসামরিক বিমান চলাচল আইন, ২০১৭’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ১৩ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আইনের খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, মন্ত্রিসভায় আইনের খসড়াটি এর আগে অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। মূলত সিভিল এভিয়েশন অর্ডিন্যান্স-১৯৬০ কে হালনাগাদ করা হয়েছে। আইনে অপরাধগুলোর দণ্ড বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্লেন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অনধিক পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা হবে। যদি কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে প্লেন পরিচালনায় বিঘ্ন সৃষ্টি করে এবং মানুষের জীবন ঝুঁকির সম্মুখীন হয়, তাহলে এই সাজা এবং অর্থদণ্ড হবে।
আইনের খসড়ায় মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি না থাকলেও নতুন করে বিষয়টি সংযোজিত করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী আইন করা হয়েছে।
“প্লেন চালানোর অনুমতি লঙ্ঘন করলে অনধিক পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা কমপক্ষে এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। সার্টিফিকেট, লাইসেন্স বা পারমিট জাল করলেও একই দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।”
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্লেন নেভিগেশনে হস্তক্ষেপ যেমন- সঠিক আলো অথবা সংকেতের কার্যক্রম বা পরিচালনায় হস্তক্ষেপ, অপসারণ বা ধ্বংস করলে অনধিক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা পাঁচ কোটি টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এটা একটা বিপজ্জনক অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয়।
“প্লেনে বিপজ্জনক পণ্য পরিবহন করলে অনধিক সাত বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ লাখ টাকা জরিমানা হবে। বিপজ্জনক পণ্য হলো এমন, যা স্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতি এবং নিরাপত্তা বিঘ্ন করতে পারে।”
বাংলাদেশের আকাশসীমা অন্য দেশের প্লেন বা কেউ লঙ্ঘন করলে অনধিক সাত বছরের কারাদণ্ড এবং কমপক্ষে তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫০ লাখ টাকা জরিমানা হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।