৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় পেলেন খালেদা জিয়া
প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৪:১৯
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের অসমাপ্ত বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় পেলেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩–এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার এ তারিখ ধার্য করেন।
এই মামলায় ৩২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই ৩২ জন সাক্ষীর পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য হাইকোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছে। যা শুনানির অপেক্ষায় আছে। এ কারণে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আত্মপক্ষ শুনানি পেছানোর জন্য সময় আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ধার্য করেন।
এদিকে একই আদালতে বিচারাধীন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টসংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরার জন্য দিন ধার্য ছিল। ওই মামলায়ও সময়ের আবেদন করা হলে আদালত ৫ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন।
পুরান ঢাকার বকশী বাজারে আলিয়া মাদ্রাসাসংলগ্ন মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৩-এর অস্থায়ী এজলাসে মামলা দুটির বিচার চলছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি। জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।
ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন—খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।