যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ইতিহাস তুলে ধরার আহবান
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬, ২৩:২৯
রাজাকার-যুদ্ধাপরাধীদের বর্বরতা-হত্যাযজ্ঞ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ)।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্পনের মাধ্যমে শহীদ’দের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ-আহবান জানানো হয়।
সংগঠনের সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী চক্র পরিকল্পিতভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। বাঙালি ও বাংলাদেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিচালিত করার ষড়যন্ত্র করেছে। সেই কলঙ্কিত ইতিহাস থেকে নতুন প্রজন্মকে বের করে আনতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পাঠ্যসূচিতে সংযোজন এখন সময়ের দাবি হয়ে ওঠেছে।
তিঁনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও বলেন, ২০০৭ সালের ৩ মে হাইকোর্টের এক রায়ে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি বা সমপর্যায়ভুক্ত সব শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে বলা হয়। ওই রায়ের আলোকে মাধ্যমিক পর্যন্ত কিছু ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হলেও তা খুবই সীমিত বলে প্রতীয়মান।
রাজাকার-মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যাদের বিচার হয়েছে তাদের বিচারপ্রক্রিয়া ও অপরাধগুলো নতুনদের মাঝে সামনে তুলে ধরে ভবিষ্যত প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান বোয়াফ সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়।
স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্পনে ছিলেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি রাশিদা হক কনিকা, সহ-সভাপতি, মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান শ্রাবন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব আহমেদ, আরাফাত হোসেন নিলয়, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রাকিবসহ আরও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।