একের পর এক হত্যাকাণ্ডে সিপিবি’র গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ
প্রকাশ : ০৭ জুন ২০১৬, ০২:৪২
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ ৬ জুন এক বিবৃতিতে দেশে একের পর এক হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, একই দিনে প্রকাশ্য দিবালোকে চট্টগ্রামে পুলিশ অফিসারের স্ত্রী মাহমুদা খাতুন মিতু আর নাটোরে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সুনীল দানিয়েল গোমেজ হত্যাকান্ড, মানুষের ক্ষোভ-হতাশা, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, নিরাপত্তাহীনতাকে অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। এসব হত্যাকান্ডকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ বলে অভিহিত করা হবে চরম দায়িত্বহীনতা। হত্যাকাণ্ডের কারণ কেবলমাত্র ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি’ও নয়। এসব হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ রাজনৈতিক। সরকারের নীতিহীন অবস্থান আর আশ্রয়-প্রশ্রয়ের কারণেই উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বেপরোয়া হয়ে হত্যাকাণ্ডে মেতে উঠেছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, মুখে মুক্তিযুদ্ধের কথা বললেও, সরকার উগ্র সাম্প্রদায়িক-সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে দমন করা দূরে থাক, তাদেরকে ধারাবাহিকভাবে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে আসছে। সরকার কোনো হত্যাকাণ্ডেরই বিচার এবং খুনীদের শাস্তি প্রদান করছে না। তনু, ত্বকী, অভিজিৎ, ফয়সলসহ কোনো হত্যাকাণ্ডেরই এখনো বিচার হয়নি। বিচারহীনতার কারণে হত্যাকান্ড বেড়েই চলেছে। সরকারের নির্বিকার ভূমিকার কারণে এ প্রশ্ন ওঠা খুবই সঙ্গত যে, হত্যাকান্ডকে কি সরকার ‘স্বাভাবিক’ ও ‘সহনীয়’ পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাইছে? সরকার কি দেশকে খুনীদের হাতে তুলে দিতে চাইছে?
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, পরিস্থিতি একেবারেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই সকল উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দায়সারাগোছের বিবৃতি বা উদ্যোগ কিংবা নির্বিকার দর্শকের ভূমিকা নয়, সরকারকে অবিলম্বে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত খুনীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।
বিবৃতিতে সিপিবি’র নেতৃবৃন্দ উগ্র সাম্প্রদায়িক-সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।