‘বাবা-স্বামীকে হত্যার পর আমাকে গণধর্ষণ করা হয়’
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৯:৪৯
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে ইতোমধ্যে অনেক রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। এদেরই একজনের নাম মোহসিনা। পালিয়ে এলেও নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাননি তিনি। তিনি জানান, তার চোখের সামনে বাবা-চাচা-স্বামীকে হত্যা করা হয়, এরপর তাকে বনের ভেতরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়।
টেকনাফের শরণার্থীর থাকার জায়গা লেদা ক্যাম্পে মোহসিনা অবস্থান করছেন। মলিন পোশাক আর বিধ্বস্ত চেহারার মোহসিনা বর্ণনা দেন গত মাসের ১২ তারিখ ঠিক কি ঘটেছিল তার জীবনে।
মিয়ানমারের রাখাইনের জাম্বুনিয়া এলাকায় বাড়ি মোহসিনা জানান, সকাল বেলা হঠাৎ করেই একদল লোক অস্ত্র হাতে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়ি ভাংচুর আর আগুন। বাড়ির পুরুষ, নারী শিশু সবাইকে আলাদা করে দাঁড় করানো হয়।
এরপর তার চোখের সামনেই হত্যা করা হয় তার পরিবারের তিনজন পুরুষ সদস্যকে। এরপর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েদের মধ্যে যাদের বয়স অল্প তাদের কে ধরে নিয়ে বনের মধ্যে নিয়ে যায়। তাদের উপর চালানো হয় নির্যাতন, ধর্ষণ।
মোহসিনা বলছিলেন, তাকে সাতজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। জ্ঞান হারান মোহসিনা। চেতনা ফিরে আসার পর পালিয়ে আসেন সেখান থেকে, কোলের শিশু আরকানের খোঁজে। বাড়ি ফিরে শুধু আরকানকে পান।
সূত্র: বিবিসি বাংলা