'করুণা চাই না, ন্যায় বিচার চাই'
প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০১৬, ২০:২২
'কারও করুণা চাই না। ন্যায় বিচার, সত্য বিচার চাই', সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙে পড়ে এই কথাগুলো বলেন ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মা জাহেদা আমিন চৌধুরী। ময়নাতদন্তে আসা আত্মহত্যার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করার পর বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এই কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকরা জানতে চাইলেও দিয়াজের বোন জুবায়েদা সরোয়ার চৌধুরী প্রথমে আসামিদের নাম বলতে অস্বীকৃতি জানান, এসময় দিয়াজের মা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
উপস্থিত সাংবাদিকদের জাহেদা আমিন চৌধুরী বলেন, "আমার মেধাবী ছেলে দেশের সম্পদ ছিল। আমি প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে চাই। যা বলার উনাকেই বলব। আর কাউকে কিছু বলব না”।
জুবায়েদা পরে বলেন, “আপনারা সাংবাদিক। আসামি কারা থাকতে পারে, সেটা আপনারা জানতে পারবেন। যারা আমাদের বাসায় হামলা করেছে, যারা চাঁদা দাবি করেছিল, যারা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসার আগে থেকেই বলে দিয়াজ ‘আত্মহত্যা’ করেছে তারাই আসামি।”
জুবায়েদা বলেন, “আমার নানা মুক্তিযোদ্ধা। আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা। আমরা আওয়ামী পরিবারের সন্তান। প্রধানমন্ত্রীর কাছেই আমাদের আবেদন।”
ঘটনার পর থেকে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অভিযোগ করেন দিয়াজের বোন।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বাসায় ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ পাওয়ার পর সোমবার দিয়াজের ময়নাতদন্ত হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। দিয়াজের অনুসারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দাবি করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের দরপত্র নিয়ে জটিলতার জেরে দিয়াজকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
বুধবার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, দিয়াজ আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু দিয়াজের পরিবার ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় আসামি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু, কর্মী রাশেদুল আলম জিশান, আবু তোরাব পরশ, মনসুর আলম, আবদুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও মোহাম্মদ আরমানকে।
চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী জাহেদার মামলা মামলা গ্রহণ করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।