ধর্ষিতা বীরাঙ্গনাদের কান্নার সাক্ষী যে দেয়াল
প্রকাশ : ২৯ মে ২০১৬, ১৯:৫৯
ছবিগুলো দেখে মনে হতে পারে যেন কোন বিখ্যাত শিল্পকর্ম, বিমূর্ত চিত্রকলা, কিংবা স্কুলে পড়ুয়া বাচ্চার ফ্যান্টাসি। সেরকম কিছু হলে হয়তো ভালোই হত। কিন্তু আফসোস, এগুলো কোন সাধারন ফ্যান্টাসি কিংবা অসাধারন চিত্রকলা নয়। সিলেটের শালুটিকরে পাকিস্তানী হায়েনাদের টর্চার সেলের দেয়ালে আঁকা ছিল বাঙালি মা বোনদের উপর নির্যাতনের এই ছবিগুলো।
নিরীহ মা-বোনদের উপর অমানুষিক অকল্পনীয় নির্যাতন চালাবার পর দেয়ালে নিজের লালসার কদর্যতম চিত্রায়ন করেছিল কোন পাকি হায়েনা। নিকৃষ্টতম লালসার অমোচনীয় সেই স্মৃতি নিয়ে আজো দাঁড়িয়ে আছে দেয়ালগুলো।
ধর্ষণে লিপ্ত এক পাকি মেজরের চিঠি থেকে পাওয়া যায়, “আমাদের এসব উশৃঙ্খল মেয়েদের পরিবর্তন করতে হবে যাতে এদের পরবর্তী প্রজন্মে পরিবর্তন আসে, তারা যেন হয়ে ওঠে ভালো মুসলিম এবং ভালো পাকিস্তানী” “We must tame the Bengali tigress and change the next generation Change to better Muslims and Pakistanis”
এমনকি স্বাধীনতার পর কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে আটক পাকি মেজরের সহজ স্বীকারোক্তি ছিল, “আমাদের কাছে টিক্কা খানের নির্দেশনা ছিলো যে একজন ভালো মুসলমান কখনই তার বাবার সাথে যুদ্ধ করবে না। তাই আমাদের যত বেশী সম্ভব বাঙালী মেয়েদের গর্ভবতী করে যেতে হবে।” “We had orders from Tikka Khan to the effect that a good Muslim will fight anybody except his father. So what we had to do was to impregnate as many Bengali women as we could.”
এরপরও আমাদের দেশের কিছু মানুষ বলে, ধর্ষণ-নির্যাতনের কথা স্রেফ অতিরঞ্জিত ইতিহাস মাত্র। তারপরও আমরা ৭১ ভুলে যেতে চাই। তারপরেও আমরা স্পষ্ট স্বরে ঘোষণা করি পাকিস্তান আমদের মুসলমান ভাই, ৭১ ছিল ভারতের ষড়যন্ত্র!
বিঃদ্রঃ - ছবিগুলো মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর থেকে বিনা অনুমতিতে লুকিয়ে লুকিয়ে তুলেছেন আরিফ রহমান।
কৃতজ্ঞতা : ডন মাইকেল কর্লিওনি