‘বাংলার নারীদের স্বীকৃতি এই পুরস্কার’
প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ১৪:৩৭
“বাংলাদেশে নারীরাই যে ‘পরিবর্তনের দূত’, এই পুরস্কার তারই স্বীকৃতি”, ‘নারীর ক্ষমতায়নে অবদানের জন্য’ ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ এবং ‘এজেন্ট অব চেইঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ার পর এমন মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব নজরুল ইসলাম জানান, জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ইউএন প্লাজায় বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় শেখ হাসিনার হাতে দুই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। রিপাবলিক অব মাল্টার প্রেসিডেন্ট মারি লুইস কোলেরো প্রেকা এবং জাতিসংঘের মহাসচিবের স্ত্রী বান সুন-টিকও এ বছর শেখ হাসিনার সঙ্গে এ পুরস্কার পেয়েছেন।
‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ পুরস্কারটি দেওয়া হয় ইউএন উইমেনের পক্ষ থেকে। আর ‘এজেন্ট অব চেইঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরাম এর পক্ষ থেকে।
ইউএন উইমেনের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর লক্ষ্মী পুরি অনুষ্ঠানে তার স্বাগত বক্তব্যের পর পুরস্কারজয়ী তিন নারীর জন্য মানপত্র পড়ে শোনান। ইউএন উইমেনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ফুমজিলা লামবো নুকা এবং গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরামের প্রেসিডেন্ট অমির দোসাল সমাপনী বক্তব্য দেন।
পুরস্কার নেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এ পুরস্কার আমাদের নারীদের জন্য এক স্বীকৃতি, যারা আমাদের পুরুষদের পাশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে চলেছে। এই পুরস্কার আমি বাংলাদেশের মানুষকে উৎসর্গ করছি, যারা আমার পরিবর্তনের দর্শনকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন”।
শেখ হাসিনা বলেন, “এই পুরস্কারে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি। ইউএন উইমেন ও গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরামকে আমি ধন্যবাদ জানাই।”
তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, এই পৃথিবীর জন্য একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা নারী-পুরুষ সকলের দায়িত্ব। মানব ইতিহাসের এমন এক সময়ে আমরা পৌঁছেছি, যখন নারী-পুরুষের সমান অধিকার কেবল আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে।”
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “নারীর ক্ষমতায়নের পথ সব সময় সহজ ছিল না। কিন্তু সাহস আর ঐকান্তিক চেষ্টার মধ্য দিয়েই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। আমি সেই পৃথিবীর স্বপ্ন দেখি, যেখানে নারীর অধিকার সবার সম্মান পাবে। নারীর প্রতি সব ধরনের বৈষম্য ও সহিংসতা যেখানে হবে ইতিহাস”।